এস এ পরিবহনের ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি ছাড়াও ব্যবহার হচ্ছে ফোম, ড্রাই পাউডার : সংগৃহীত ছবি
                                    বাংলাদেশের রাজধানী কাকরাইলের এস এ পরিবহনের ভবনে আগুন লাগার পর সেখানে দফায় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দাহ্য পদার্থ। পরে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে আগুন ও বিস্ফেরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আজ ৯ অক্টোবর সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ১০টা ১৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট পৌঁছায়। ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে বললেও সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণ এখনো হয়নি। নিয়ন্ত্রণ মানে আগুন চারপাশে ছড়াতে পারবে না। যেহেতু এটি পার্সেলের অফিস, সেক্ষেত্রে ভেতরে বিস্ফোরণ জাতীয় কিছু থাকতে পারে। তাই বিস্ফোরণ হচ্ছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এস. এ. পরিবহনের যানবাহন শাখার সহকারী ফোরম্যান খোরশেদ আলম পলাশ বলেন, এখান থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে পার্সেল ডেলিভারি হয়। সকালে কেবল এখানে গাড়ি থেকে পার্সেলগুলো নামানো হয়েছে। এর পরই আগুন লাগে। একটি গাড়িও পুড়ে গেছে। কি কারণে আগুন লেগেছে সেটা এখনো আমরা জানি না।
ডেলিভারির জন্য আনা গার্মেন্টসের পণ্যসহ আরো নানা ধরনের পণ্য পুড়ে গেছে বলেও জানান তিনি। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি এস. এ. পরিবহনের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন দিয়ে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে আধা পোড়া শাড়ি, কাপড়, নকশি কাঁথা, হোমিওপ্যাথি ওষুধের কাঁচের কৌটা, সিগারেট, বিড়ি, হারবাল ওষুধ, সুপারি পড়ে আছে। যেসব পণ্য অক্ষত রয়েছে সেগুলো পরিবহনের কর্মীরা দ্রুত সরিয়ে নিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম দোলন জানান, তিন তলা ভবনের নিচতলায় পণ্য রাখার কক্ষগুলোতে মূলত আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করে বেলা ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি জানান, নিচতলায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সেগুলো আতশবাজি ও পটকা ছিল বলে এস. এ পরিবহনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আগুন নিভে যাওয়ার পরও ঘটনাস্থলে কেমিক্যালের ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল বলেও জানান তিনি।
আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, কাকরাইলে এস. এ পরিবহনের গুদামে ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। আমাদের প্রথম ইউনিট এখানে পৌঁছায় ১০টা ১৫ মিনিটে। এরপর একে একে ১২টি ইউনিট চলে আসে। ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, গোডাউনে পার্সেলের মধ্যে আতশবাজি বা পটকা ধরনের কিছু আছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: