আদালতের রায়ের পর আদিলুর রহমান খানকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় :  সংগৃহীত ছবি
                                    বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত।
১০ অক্টোবর, মঙ্গলবার বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিন শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানালে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আদালত।
জামিনের আদেশের পর এ প্রসঙ্গে আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, জামিন না দিলে অবাক হতাম, জামিন হওয়ায় খুশি হয়েছি। ২ বছর বা তার কম কারাদণ্ড হলে জেলে পাঠানোর বিধান দুনিয়া থেকে উঠে গেছে। আদিলুর ও এলানকে কারাগারে পাঠানো উচিত হয় নাই।
তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ রায় দেন।
রায়ের পর আদিলুর রহমান খান বলেছিলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এছাড়া, তাদের আইনজীবী রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে আপিল করবেন বলে জানান।
অন্যদিকে, সে সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়নি, এজন্য তারা সন্তুষ্ট নন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছিল। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি আদিলুর ও এলান ৬১ জনের মৃত্যুর বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: