ফাইল ছবি
                                    ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ নিয়ে জল্পনা চলছে। এক্ষেত্রে যে দেশটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে, তা হলো যুক্তরাজ্য। এর মধ্যেই শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্যান্ডার্ডে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সংসদ সদস্য (এমপি) রূপা হক লেখেন, শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনকে তিয়ানআনমেন স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করে রূপা হক লিখেছেন, ‘স্বৈরাচারী’ কন্যা শেখ হাসিনা দেশটির আয়ুষ্কালের বড় অংশই শাসন করেছেন (সর্বত্র তার বাবার ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম স্থাপন নিশ্চিত করে)। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে, শেখ হাসিনা শুধু শাড়ি পরা একজন বৃদ্ধাই নন, ‘বর্বর’ শাসকও। সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াওয়ের মাধ্যমে তিনি ভারতে নির্বাসিত হন।
রূপা হক লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, শেখ হাসিনার শাসনামল ব্যাপকভাবে সমালোচিত। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নিজস্ব অভিবাসনসংক্রান্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতরতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের এমন একজনকে আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না, যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের দাবি রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি মনে করেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
ছাত্রদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে রূপা হক লিখেছেন, ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও সম্প্রতি জনপ্রিয়তার ভয়ে কারাবন্দি করার ষড়যন্ত্রও করেছিলেন শেখ হাসিনা।
সবশেষে রূপা হক লেখেন, তবে ঝুঁকি এখনো থেকেই যাচ্ছে। এরপরও আশা করি, সেখানে গণতন্ত্র ফিরবে। দুই পরিবারের চিরবৈরিতা যেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস রূপায়ন করে, সেখানে ভবিষ্যতে যখন সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হবে, তখনই সবকিছু নতুন করে শুরু করার উৎকৃষ্ট সময় হবে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: