সংগৃহীত ছবি
                                    বিশ্বের সবগুলো দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে দূষিত দেশ এবং সূক্ষ্ম কণা বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশিদের আয়ু ৪ দশমিক ৮ বছর কমেছে। ২৮ আগস্ট বুধবার এক প্রতিবেদনে এমনই ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স।
তারা বলেছে, জাতিসংঘের রিকমেন্ডশন অনুযায়ী যদি বাতাসের মান বজায় রাখা যেত তাহলে একজন বাংলাদেশির গড় আয়ু ৪ দশমিক ৮ বছর বেশি থাকত।
এরমধ্যে কিছু অঞ্চলের অবস্থা আরও বেশি খারাপ। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার দুই কাছের জেলা গাজীপুর এবং নরসিংদীতে বায়ু দূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু কমেছে ছয় বছরেরও বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের সবাই বায়ু দূষণের মধ্যে বসবাস করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) যে গাইডলাইন রয়েছে সেটির তুলনায় বাংলাদেশের সব জায়গায় গড় সূক্ষ্ম কণা বায়ুদূষণের পরিমাণ বেশি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে কম দূষিত বিভাগ হলো সিলেট। কিন্তু সেখানে সূক্ষ্ম কণা বায়ু দূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইনের চেয়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশিদের আয়ু বায়ুদূষণের কারণে ৪ দশমিক ৮ বছর, তামাকজাত পণ্য খাওয়ার কারণে দুই বছর এবং শিশু ও মাতৃত্বকালীন অপুষ্ঠির কারণে ১ দশমিক ৪ বছর কমেছে।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালে সূক্ষ্ম কণা দূষণ ২০২১ সালের তুলনায় ২২ শতাংশ কম ছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দূষণের মাত্রা উর্ধ্বদিকে থাকলেও ২০২২ সালে এসে একটি কমে।
২০২২ সালে দূষণের পরিমাণ যে পরিমাণে কমেছিল এটি যদি ধরে রাখা যেত তাহলে বাংলাদেশিরা গত এক দশকের তুলনায় আরও এক বছর বেশি বাঁচত।
এছাড়া দূষণ নিয়ে যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মানা যেত তাহলে ঢাকার বাসিন্দাদের গড় আয়ু ৫ দশমিক ৬ বছর বাড়ত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: