সংগৃহীত ছবি
                                    
জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমের সঙ্গে লোডশেডিংয়ে বাংদেশের মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। গরম থেকে রেহাই পেতে চার্জার ফ্যান ও এসি কিনছেন অনেকেই। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় বাসা ও অফিসে জেনারেটর চালানোর জন্য ডিজেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গরম ও লোডশেডিংয়ে বেশি কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে কোনো সুখবর দিতে পারেনি আবহাওয়া অফিসও। বলছে, সহসা এই তাপদাহ কমার লক্ষণ নেই। অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো গরম চলবে আরও কয়েকদিন অস্বস্তিকর গরমের মধ্যে দিনে-রাতে লোডশেডিংয়ের কারণে বাংলাদেশের মানুষের ত্রাহি অবস্থা। রোববার বাংলাদেশের ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপ অনুভূত হচ্ছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
বাংলাদেশের ঢাকায় এক বাসিন্দা জানান, রাতে ১২টার দিকে কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একঘণ্টা পর আসে। এরপর ফের ৩টার দিকে বিদ্যুৎ যায়। দিনে প্রায় ৩ থেকে ৪ বার একঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না।
অন্য এক বাসিন্দা বলেন, এরপর তীব্র গরমে রাতে দু’বার করে বিদ্যুৎ থাকে না। গরমে অতিষ্ট। শ্রমজীবীরা বলছেন, গরমে কাজ করা যাচ্ছে না। রাস্তাও লোকজন কম। এতে আয় কমে গেছে।
লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, শনিবার (৩ জুন) দুপুর ১২টায় প্রায় ১৪ হাজার (১৩৯২১) মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৬৭৪ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২৪৭ মেগাওয়াট।
এদিকে, গতকাল শনিবার সাভারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কয়লা সংকটের কারণে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি অংশ আগে থেকেই বন্ধ আছে। আগামী ৫ জুনের পর আরেকটি অংশও বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, কয়লা আমদানি করতে আরও অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে। কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। প্রায় ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং চলছে।
নসরুল হামিদ বলেন, তেলের ব্যাপারেও আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এখন ইন্ডাস্ট্রিতে ডাইভার্ট করছি বেশিরভাগ গ্যাস। আর গরম বেড়ে গেছে, ৩৮ ডিগ্রির উপরে চলে গেছে, কোনও কোনও জায়গায় ৪০-৪১ ডিগ্রি হয়ে গেছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে, ফলে লোডশেডিংও বেড়েছে। কিছু দিন এ পরিস্থিতি থাকবে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ জায়গায় আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপপ্রবাহ চলতে পারে আরও চার থেকে পাঁচ দিন।
সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, সারা দেশের কোথাও তীব্র এবং কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহ আরও চার থেকে পাঁচ দিন চলতে পারে। তবে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের দু–এক জায়গায় সম্ভাবনা থাকলেও আপাতত অন্যত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: