
৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের মাটি স্পর্শ করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা ৪৩ মিনিটের দিকে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দীর্ঘ চার মাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন-দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশত্যাগের দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবারই প্রথম দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান।
খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। দলীয় চেয়ারপার্সনকে একনজর দেখতে এবং তাকে শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন বিমানবন্দর সড়ক থেকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দলীয় পতাকা ও জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার দুইপাশের ফুটপাতে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকায় অতিরিক্ত জনসমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ট্রাফিক পুলিশেরও ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করছে বিমানবন্দর থেকে লে মেরিডিয়ান হোটেল, ছাত্রদল লে মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত, যুবদল হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত এলাকায়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করছে হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম, স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান, কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড়, শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল এবং ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করবে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত এলাকায়। পেশাজীবী সংগঠনগুলো অবস্থান করবে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ এবং মহিলা দল গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত এলাকায়।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার যুক্তরাজ্য গমনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিলেন। সেটিতেই তিনি লন্ডন যান এবং একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: