ছবি : সংগৃহীত
                                    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে অপরাধের প্রমাণ এতটাই স্পষ্ট ও শক্তিশালী যে, বিচারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ থাকবে না।’ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যত বাধাই আসুক, বাধা ভেঙে আমরা ন্যায়বিচারের পথেই এগিয়ে যাবো। প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ সাজা আমরা চাই। ইংল্যান্ডের অলিভার ক্রম ওয়েলকে মানবতাবিরোধী আপরাধের জন্য মৃত্যুর পরেও পচা-গলা লাশ কবর থেকে উঠিয়ে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। তার মাথার খুলি ২০ বছর শহরের মাঝখানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে আমরা এমন নৃশংস সাজা চাই না। প্রচলিত আইনে আমরা অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা চাই।’
‘পৃথিবীর ইতিহাসের সকল স্বৈরশাসকদের সমিতি করা হলে নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনা হবেন এর সভাপতি’, বলেন মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য ও প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
পাশাপাশি এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও আসামি। এদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন। শেখ হাসিনা ও আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: