শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির হত্যায় তীব্র প্রতিবাদ, বিচারের দাবি এইচআরডিবি’র

মুনা সাংগঠনিক ডেস্ক | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:১৫

ছবি : যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলামকে আবেদন প্রেরণ করছেন এইচআরডিবি’র সদস্যগণ ছবি : যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলামকে আবেদন প্রেরণ করছেন এইচআরডিবি’র সদস্যগণ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক আবেদনে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ - এইচআরডিবি জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটি এ ঘটনাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব এবং ন্যায়বিচারের আন্দোলনের ওপর সরাসরি হামলা বলে অভিহিত করেছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলামের মাধ্যমে আবেদনটি প্রেরণ করা হয়।

ছবি : যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলামকে আবেদন প্রেরণকালে

এইচআরডিবি-এর বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, জুমার নামাজের পরপরই একটি নির্বাচনী প্রচারণাকালে প্রকাশ্য দিবালোকে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হন শরীফ ওসমান বিন হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সংগঠনটি জানায়, এই হত্যাকাণ্ড কোনো একক ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয়; বরং এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের ন্যায় ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর আঘাত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত অপরাধীরা হামলার পরপরই প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে এইচআরডিবি বাংলাদেশ সরকারকে দ্রুত কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করে পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া, জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল বিপ্লবী ও কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়েছে।

এইচআরডিবি অভিযোগ করেছে, অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়া অনেক অপরাধী সহজেই জামিনে মুক্তি পাচ্ছে, যা অপরাধীদের আরও সহিংস হতে উৎসাহিত করছে এবং দেশে দায়মুক্তির সংস্কৃতি তৈরি করছে। এ অবস্থায় সংগঠনটি সকল সন্ত্রাসী ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার, বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

পাশাপাশি, জুলাই আন্দোলনবিরোধী প্রচারণায় জড়িত তথাকথিত সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদী শক্তি ও সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংগঠনটি আরও জানায়, শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির আত্মত্যাগ জাতির জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তার স্মৃতি সংরক্ষণ এবং অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো নৈতিক ও নাগরিক দায়িত্ব।

এ প্রেক্ষাপটে এইচআরডিবি চারটি দাবি উত্থাপন করেছে—
১) শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি প্রদান
২) তার নামে একটি স্মৃতিফলক ও প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা
৩) হত্যাকাণ্ডের দ্রুত, স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত বিচার নিশ্চিত করা
৪) জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

ছঁবি : এইচআরডিবি’র ৪ দফা দাবি

এইচআরডিবি সরকারকে এসব দাবিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

 

আকবর উদ্দীন

মুনা ইস্ট জোন

কালচারাল মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন ডেভেলপমেন্ট



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: