সংগৃহীত ছবি
                                    ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ৭ অক্টোবর, শনিবার সকাল থেকে চালানো এই হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০০।
এই পরিস্থিতিতে গাজা ভূখণ্ডে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্যসামগ্রী সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। ৮ অক্টোবর রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ‘হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস’ করার পদক্ষেপগুলো অনুমোদন করেছে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পণ্য সরবরাহ বন্ধ করবে ইসরায়েল।
ইসরায়েল থেকে ফিলিস্তিনের এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে এবং সেই বিদ্যুতই এই ভূখণ্ডের প্রায় সকল অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। রোববার শুরুর দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে গাজার বেশিরভাগ অংশ গত রাতে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানের ‘প্রথম পর্যায়’ শেষ হয়েছে এবং হামাস যোদ্ধাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ইসরায়েল।
এছাড়া হামাসের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ‘অবকাশ ছাড়াই’ আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন নেতানিয়াহু।
এর আগে ইসরায়েলিদের তৈরি অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে আকস্মিক ও অতর্কিত হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শনিবার সকাল থেকে চালানো এই হামলায় নিহত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০০।
এছাড়া অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পরিচালনাকারী গোষ্ঠী হামাসের ভয়াবহ এই হামলায় আহত হয়েছে আরও প্রায় ১৬০০ ইসরায়েলি। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। আর তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে হামাসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ইসরায়েলি বন্দিদের গাজা উপত্যকায় জীবিত অবস্থায় ধরে আনার বহু ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছে। হামাস বলেছে, আটক ইসরায়েলিদের সংখ্যা ইসরায়েল যা জানে তার চেয়েও অনেক বেশি।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হামলার পর আহতদের চাপ বেড়েছে দক্ষিণ ইসরায়েল ও গাজার সবগুলো হাসপাতালে। তাই এসব হাসপাতালে একটি বেডও ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৯৭ জন।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: