সংগৃহীত ছবি
                                    গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে টানা ৮ সপ্তাহ ধরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে আল আকসা মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ১ ডিসেম্বর, শুক্রবার আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ প্রায় মুসল্লিশূন্য দেখা গেছে।
জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগের একজন কর্মকর্তা তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে বলেছেন, ‘শুধুমাত্র ৩ হাজার ৫০০ জন জুমার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অথচ স্বাভাবিক অবস্থায় শুক্রবার ৫০ হাজারের বেশি মুসল্লি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতেন।'
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইসরায়েলি পুলিশ টানা অষ্টম শুক্রবার মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারা শুধুমাত্র বয়স্কদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এই কারণে নামাজের সময় মসজিদ প্রাঙ্গণ এবং ভিতরের কক্ষ প্রায় খালি ছিল।'
তিনি উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যুদ্ধের শুরু থেকেই আল আকসা মসজিদে মুসল্লিদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তবে শুক্রবারে জুমার নামাজের সময় এই নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জেরুজালেমের পুরোনো অংশের গলিতে ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে তারা কিশোর বয়সী ছেলেদের গ্রেপ্তার করেছে এবং আল আকসা মসজিদে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে। এর ফলে শত শত ফিলিস্তিনি রাস্তায় নামাজ পড়তে বাধ্য হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা যোগ করেছেন, পুলিশ মুসল্লিদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার ছুড়েছে, তাদের বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে এবং তাদের রাস্তায় ধাওয়া করেছে।
এদিকে এক সপ্তাহের সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর ১ ডিসেম্বর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে। উপত্যকার উত্তর, দক্ষিণ এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৮৯ জন আহত হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: