সংগৃহীত ছবি
                                    ১৪ জুন, শুক্রবার চলতি বছরে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সারাবিশ্বের লাখ লাখ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন এবার হজ পালনের জন্য সৌদিতে গিয়েছেন। তবে এবার ইসরায়েলি বাধার কারণে হজে যেতে পারেননি গাজার ২৫০০ মানুষ। শুক্রবার আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে অনেক হজ পালন করতে গিয়েছেন। তবে ইসরায়েলি অভিযান ও অবরোধের কারণে গাজার কেউ হজে যেতে পারেননি। ইসরায়েলি সেনারা মিসরসংলগ্ন রাফা ক্রসিং দখলে রাখায় তারা আটকা পড়েছেন।
গাজার এনডাউসমেন্ট মিনিস্ট্রি জানিয়েছে, ইসরায়েলি গণহত্যা ও গাজাকে মিসরের সঙ্গে সংযুক্তকারী রাফা ক্রসিং দখলে নেওয়ার ফলে ২৫০০ গাজাবাসী হজে যেতে পারেননি। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হজে যেতে বাধা সৃষ্টিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে মিসর ও সৌদি আরবের মধ্যে পরিবহন চুক্তি স্বাক্ষর এবং হাজিদের জন্য মক্কা-মদিনায় আবাসনের বন্দোবস্ত করার স্বাভাবিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল মুদাল্লাল জানান, রাফা ক্রসিং বন্ধ থাকায় এবং চলমান সংঘাতের কারণে গাজার ২৫০০ হজযাত্রী তাদের যাত্রা সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে ফিলিস্তিন থেকে ৬ হাজার ৬০০ মুসলিম হজ করেছেন। ফলে ইসরায়েলি বাধার কারণে যেতে পারেননি ৩৮ শতাংশ হজযাত্রী।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় মিসর ও সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারাও ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ডকে অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
ফিলিস্তিনের এ কর্মকর্তা জানান, এ বছর ক্ষতিগ্রস্তরা আগামী বছর হজের সুযোগ পাবেন। তাদের আগামী বছর অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
গাজার বাসিন্দা হজ পালনের জন্য বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করেন। উপত্যকার হজযাত্রীদের ৭০ শতাংশই বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষ। তারা সাধারণত রাফাহ সীমান্ত দিয়ে প্রথমে মিসরে যান। এরপর সেখানে থেকে বিমানে সৌদি যান তারা। তবে গত মে মাস থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের অপর অংশ পশ্চিম তীর থেকে চার হাজার ২০০ জন হজ পালন করতে সৌদি পৌঁছেছেন।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: