তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ এরদোয়ানের : সংগৃহীত ছবি
                                    
ঐতিহাসিক নির্বাচনে দুই দশকের বেশি ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করে নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে নতুন যুগ শুরু করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান। ৩জুন শনিবার নতুন ৫ বছর মেয়াদে ১২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে টার্কিশ গ্রান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে শপথ নেন তিনি। এরপরই তিনি দেশের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
শপথে এরদোয়ান বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে মহান তুর্কি জাতি ও এর ইতিহাসের সামনে আমার সম্মান ও সততার, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার শপথ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংবিধান, আইনের শাসন, গণতন্ত্র, আতাতুর্কের নীতি ও সংস্কার এবং ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্রের নীতি মেনে চলব।’
এরপরই প্রেসিডেন্ট প্যালেসে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবারই নতুন মন্ত্রিপরিষদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। শপথ গ্রহণের পর মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। দুজন বাদে মন্ত্রিসভার সব সদস্যই নতুন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মেভলুত চেভুসোগ্লুর স্থানে এসেছেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটির প্রধান হাকান ফিদান। আর সাবেক অর্থনীতিবিভাগের প্রধান মেহমেত সিমসেক হয়েছেন নতুন অর্থমন্ত্রী। এই পরিবর্তন নিয়ে অনেক আগে থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।
চিফ অব স্টাফ জেনারেল ইয়সার গুলার হয়েছেন নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আগে এই পদে ছিলেন হুলুসি আকার। নতুন আইনমন্ত্রী হয়েছেন ইলম্যাজ টুনক। তিনি স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বাকির বোজদাগের।
নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেভদেট ইলম্যাজের নাম ঘোষণা করেছেন এরদোয়ান। তিনি ফুয়াত ওকতের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। অন্য আর কাউকে ওই পদে নিযুক্ত না করায় একজন ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়েই কাজ করবেন এরদোয়ান।
আলজেরিয়ায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মাহিনুর ওজদেমিরকে নতুন পরিবার ও সামাজিক নীতিবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি দেরিয়া ইয়ানিকের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
পাঁচ বছর ধরে ইস্তাম্বুলের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আলী ইয়েরলিকায়াকে নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি সুলায়মান সোয়লুর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
কেবলমাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেতিন কোকা এবং সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী মেহমেত নুরি এরসয় তাদের পদ ধরে রাখতে পেরেছেন।
শনিবার এরদোয়ান ঘোষণা করেন, মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এই নতুন মন্ত্রিপরিষদের কাজ হবে কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার পরিচালনা করা। এরই মধ্যে সংকটে পড়ে সেখানে মুদ্রাস্ফীতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ধস নেমেছে স্থানীয় মুদ্রা লিরা’র। একদিকে এরদোয়ান যেমন মুসলিম বিশ্বের কাছে জনপ্রিয়, তেমনি তিনি পশ্চিমাদের সঙ্গে বোধগম্য কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন। দেশে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আয়োজন করা হয় বিলাসবহুল অনুষ্ঠান। সেখানে যোগ দেয় বিশ্বের কয়েক ডজন নেতা।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: