সুয়েইদার পরিস্থিতি শান্ত বলে দাবি সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২০ জুলাই ২০২৫ ১৫:০৬

ছবি: সংগৃহীত ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সুয়েইদা প্রদেশে গত কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনা ও সংঘর্ষের পর অবশেষে শান্তি ফিরেছে। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে শহরটি বেদুইন উপজাতী যোদ্ধাদের থেকে মুক্ত করা হয়েছে এবং সংঘর্ষ বন্ধ হয়েছে। সিরিয়ার সরকার একটি ব্যাপক ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে, যা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ।

সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নূর আল-দিন আল-বাবা রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা’র সংস্থাকে বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক প্রচেষ্টার ফলে এবং সুয়েইদা প্রদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের পর, শহরটি উপজাতীয় যোদ্ধাদের থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছে এবং সংঘর্ষ থামানো হয়েছে।” সিরিয়ার সরকার একটি ব্যাপক ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে, যা দক্ষিণাঞ্চলের এই প্রদেশে দিনব্যাপী অশান্তির পর কার্যকর হয়েছে।

গত ১৩ জুলাই থেকে সুয়েইদায় বেদুইন আরব উপজাতি এবং সশস্ত্র দ্রুজ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক অবস্থান এবং দামেস্কের অবকাঠামোর উপর বিমান হামলা চালায়।

ইসরায়েল দাবি করে যে তারা দ্রুজ সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য এই হামলা চালিয়েছে। তবে, সিরিয়ার বেশিরভাগ দ্রুজ নেতা বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং একটি ঐক্যবদ্ধ সিরিয়ার প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায়, যারা প্রধানত সুয়েইদা প্রদেশে বাস করে, তাদের জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। এই সম্প্রদায় শিয়া ইসলামের একটি শাখা থেকে উদ্ভূত একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী।

গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের শাসনামলের পতনের পর ইসরায়েল সিরিয়ায় তার বিমান হামলা তীব্র করে এবং দুই দেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালের বিচ্ছিন্নতা চুক্তি ও বাফার জোনকে অকার্যকর ঘোষণা করে। সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান আসাদ প্রায় ২৫ বছর ধরে সিরিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ডিসেম্বরে রাশিয়ায় পালিয়ে যান, যার ফলে ১৯৬৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা বাথ পার্টির শাসনের অবসান ঘটে।

এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে একটি নতুন অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠিত হয়। এই নতুন প্রশাসনের অধীনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও প্রতিনিধিত্ব নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, শারা সকল সম্প্রদায়ের সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছেন। শনিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে আল-শারা সকল পক্ষকে অস্ত্র পরিহার এবং সরকারের সাথে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সহোযোগিতার আহ্বান জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: