ন্যাটো সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক ইস্যুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্য সংকট। নেদারল্যান্ডসে আয়োজিত এই সম্মেলনে বুধবার (২৫ জুন) সকালেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সদ্য দায়িত্ব নেওয়া নেটো মহাসচিব মার্ক রুটে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন। এরপর সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

চলতি জুন মাসে নেদারল্যান্ডসে চলমান ন্যাটো সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনটি শুরু হয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ডাচ প্রধানমন্ত্রী থেকে সদ্য নিযুক্ত ন্যাটো মহাসচিব রুটে সম্মিলিতভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাদের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে- মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, বিশেষ করে গাজা এবং লেবানন ইস্যু নিয়ে ন্যাটো নেতৃত্বের উদ্বেগ বাড়ছে। এই ইস্যুগুলো শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তা নয়, বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার উপরও প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করেন নেতারা।

সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় মার্ক রুটে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে 'উদ্বেগজনক' বলে অভিহিত করেন। এরপর ন্যাটোর ঐতিহ্যবাহী ‘ফ্যামিলি ফটো’ অর্থাৎ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রধানদের সম্মিলিত ছবি তোলার সময় দুজনকে ছবির সামনের সারিতে দেখা যায়- যা কূটনৈতিক গুরুত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। দিনব্যাপী বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আলোচনায় রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ, প্রতিরক্ষা ব্যয় সংক্রান্ত লক্ষ্য, এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা কৌশল।

সন্ধ্যায় আবারও একাধিক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নেটো মহাসচিব রুটে একটি পৃথক প্রেস ব্রিফিং দেবেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও দিনের শেষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ন্যাটো সম্মেলনের এই দ্বিতীয় দিনে যে বিষয়টি সবচেয়ে পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে, তা হলো- মধ্যপ্রাচ্য এখন আর কেবল আঞ্চলিক সংকট নয়, এটি আন্তর্জাতিক কৌশলগত উদ্বেগে রূপ নিয়েছে।