07/16/2025 আইসিই মাত্র ছয় ঘন্টার নোটিশে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে পারবে
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৫ জুলাই ২০২৫ ১৩:১০
মাত্র ছয় ঘণ্টার নোটিশে কোনও অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশ ছাড়া অন্য কোনও দেশে পাঠিয়ে দিতে পারে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই)। ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা এক স্মারকে একথা জানিয়েছেন।
আইসিই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টড লায়ন্সের সই করা ৯ জুলাইয়ের এক স্মারকে বলা হয়েছে, সাধারণত অভিবাসীদেরকে তৃতীয় দেশে পাঠানোর আগে অন্তত ২৪ ঘণ্টা সময় দেয় আইসিই। তবে ‘জরুরি পরিস্থিতিতে’ এই সময়সীমা কমিয়ে ছয় ঘণ্টা করা যেতে পারে, যদি ওই ব্যক্তি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। বলা হয়েছে স্মারকে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে লিখিত নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, তারা কাউকে নির্যাতন করবে না কিংবা নিপীড়ন করবে না, সেসব দেশেই অভিবাসীদের পাঠানো যাবে এবং এর জন্য নতুন করে কোনও বিচারিক প্রক্রিয়া চালানোর প্রয়োজন হবে না। আইসিই-এর নতুন এই নীতির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে দ্রুত অভিবাসী বিতাড়নের পথে যেতে পারে।
গত জুনে সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে এমন বিতাড়ন কার্যক্রমের ওপর নিম্ন আদালতের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ সুদানে পাঠিয়ে দেয় কিউবা, লাওস, মেক্সিকো, মিয়ানমার, সুদান ও ভিয়েতনামের আটজন অবৈধ অভিবাসীকে।
রয়টার্স জানায়, এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকার পাঁচটি দেশের—লাইবেরিয়া, সেনেগাল, গিনি-বিসাউ, মৌরিতানিয়া ও গ্যাবন—প্রশাসনের ওপর চাপ দিচ্ছে যেন তারা অন্যান্য দেশের অভিবাসীদেরও গ্রহণ করে।
তবে, এই উদ্যোগের সমালোচনা করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, যেসব দেশে অভিবাসীদের পাঠানো হচ্ছে, সেখানে তারা সহিংসতা, নিঃসঙ্গতা ও ভাষাগত সংকটে পড়তে পারেন। কোনও পূর্বপরিচয় বা সামাজিক বন্ধন ছাড়াই অপরিচিত দেশে পাঠিয়ে দেওয়া ‘নির্মম ও অমানবিক’।
‘ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন লিটিগেশন অ্যালায়েন্স’-এর আইনজীবী ট্রিনা রিয়েলমুটো বলেন, “এই নীতিমালায় যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী যথাযথ নিরাপত্তা ও আইনি সুরক্ষার কোনো নিশ্চয়তা নেই।”
এর আগে ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় স্বল্প পরিসরে তৃতীয় দেশে বহিষ্কারের এমন প্রক্রিয়া চালু করেছিলেন। সেসময় এল সালভাদর ও হন্ডুরাসের কিছু অভিবাসীকে গুয়াতেমালায় পাঠানো হয়েছিল।
অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের ব্যাপারে মেক্সিকোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। কারণ, এসব দেশে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম চালানো কঠিন ছিল।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.