08/28/2025 মিয়ানমারের ৮০,০০০ শরণার্থীকে কাজের সুযোগ দিচ্ছে থাই সরকার
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৭ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪৮
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা হাজারো শরণার্থীকে দেশে বৈধভাবে কাজ করার অধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ড।
বুধবার থাই সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ নীতিগত পরিবর্তনের ফলে প্রায় ৮০ হাজার শরণার্থী কর্মসংস্থানের বৈধ সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে অনেকে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তবর্তী ক্যাম্পগুলোতে বসবাস করছেন।
থাইল্যান্ড সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, থাই-মিয়ানমার সীমান্তের নয়টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ১৯৮৪ সাল থেকে অবস্থানরত শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ৪২ হাজার ৬০১ জন কর্মক্ষম বয়সে রয়েছেন। এদের জন্যই মূলত এই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।
কর্মসংস্থানের এই সুযোগ থাইল্যান্ডের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সঙ্গে সশস্ত্র সীমান্ত সংঘাতের পর দেশটিতে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। লড়াই শুরু হওয়ার পর থাইল্যান্ড ছেড়ে চলে যান প্রায় ৫ লাখ ২০ হাজার কম্বোডিয়ান শ্রমিক, যা মোট শ্রমশক্তির প্রায় ১২ শতাংশ।
সরকারি শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, জুলাই পর্যন্ত থাইল্যান্ডে প্রায় ৩০ লাখ মিয়ানমারের শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। নির্মাণ, কৃষি ও সেবা খাতে বিদেশি শ্রমিকরা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আগেও একাধিকবার উল্লেখ করেছে থাই কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সরকারি মুখপাত্র জিরায়ু হংসুব জানান, শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে থাইল্যান্ডে অবস্থান করা মিয়ানমার শরণার্থীরা বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন। এতে একদিকে যেমন শরণার্থীরা তাদের পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারবেন, অন্যদিকে স্থানীয় অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, এই সিদ্ধান্তকে তারা ‘কৌশলগত বিনিয়োগ’ হিসেবে দেখছে। কারণ এটি শরণার্থীদের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করবে, স্থানীয় চাহিদা বাড়াবে এবং কর্মসংস্থান তৈরি করবে।
সংস্থাটি আরও বলেছে, এর ফলে জিডিপি বাড়বে, অর্থনীতি হবে আরও টেকসই, এবং মানবিক সাহায্যের ওপর শরণার্থীদের নির্ভরতা কমবে। বিশেষ করে যেহেতু শরণার্থীদের প্রায় অর্ধেকই জন্মেছেন এসব ক্যাম্পের ভেতরেই।
জাতিসংঘ মনে করছে, শরণার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার এ ধরনের উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য উদাহরণ হতে পারে, বিশেষ করে যখন মানবিক সাহায্য কমে আসছে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.