ডাকসুতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান। আজ বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় এই অভিনন্দন জানায় পাকিস্তান জামায়াত।
ইসলামী ছাত্রশিবির গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল জয় পায়।
আজ পাকিস্তান জামায়াতের অভিনন্দনবার্তায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে পুরো প্যানেলে বিজয় অর্জনে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (ইসলামি জামিয়াতে তালাবা) প্রাণঢালা অভিনন্দন।’
পাকিস্তান জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই সাফল্য বাংলাদেশে নির্মাণ ও উন্নয়নের এক নতুন যুগের সূচনা প্রমাণ করবে, জাতীয় জীবন ও গণতন্ত্রে ছাত্র ও যুবকদের ভূমিকার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে এবং ভারতীয় ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির পথে অগ্রসর হবে। ইনশা আল্লাহ।’
এর আগে এক্সেই শিবিরকে অভিনন্দন জানান পাকিস্তান জামায়াতের আমির নাইম উর রহমান। পরে অবশ্য তাঁর সেই অভিনন্দনবার্তা মুছে ফেলা হয়।
সেই বার্তায় নাইম উর রহমান লেখেন, ‘বাংলাদেশে নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ! দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিজয় অর্জন করেছে। পুরো প্যানেলই বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটল।’
পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর নাইম–উর–রহমানের এক্স পোস্টে ইসলামী ছাত্র শিবিরকে অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া বার্তার একাংশ। পরে অবশ্য এটি মুছে ফেলা হয়।
এক্সে দেওয়া বার্তায় পাকিস্তান জামায়াতের আমির বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলগুলো ভারতপন্থী শক্তির সম্মিলিত সমর্থন পেয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এই সাফল্যের জন্য ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। ইনশা আল্লাহ, এই বিজয় শুধু ছাত্র ও যুবসমাজের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে না, বরং বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি দিতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে।’
নাইম উর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই কৃতিত্বের দাবিদার। কারণ, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তারা গণতন্ত্রের নার্সারি হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।’