09/14/2025 ন্যাটো দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান ট্রাম্পের
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৫৭
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং চীনের ওপর ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ন্যাটো দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ন্যাটো দেশগুলো যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও দেবে।
শনিবার ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এই আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট। তিনি মনে করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও মস্কোর তেল কেনার জন্য চীনের ওপর ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত আছি। যদি ন্যাটো দেশগুলো রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে আমিও নিষেধাজ্ঞা দেব।’
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার অনুসারে, চীন ও ভারতের পর রুশ তেলের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ন্যাটো সদস্য তুরস্ক। রুশ তেল কেনার সঙ্গে যুক্ত ৩২-রাষ্ট্রীয় জোটের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়াও রয়েছে।
ট্রাম্প তার পোস্টে আরও বলেন, রাশিয়ার তেলের ওপর ন্যাটোর নিষেধাজ্ঞা এবং চীনের ওপর শুল্ক আরোপ ‘মারাত্মক কিন্তু হাস্যকর’ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে অনেক সাহায্য করবে।
তিনি বলেন, ন্যাটো সদস্যদের চীনের ওপর ৫০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা উচিত এবং যুদ্ধ শেষ হলে তা প্রত্যাহার করা উচিত। ট্রাম্প আরও বলেন, রাশিয়ার ওপর চীনের একটি শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তিশালী শুল্ক সেই দখল ভেঙে দেবে।
প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনার জন্য ভারতের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। পোস্টে ট্রাম্প আরও বলেন, যুদ্ধের দায় তার পূর্বসূরী জো বাইডেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর বর্তায়। তবে তিনি এই তালিকায় ভ্লাদিমির পুতিনকে অন্তর্ভুক্ত করেননি।
জি-৭ দেশগুলোকেও ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর জন্য চাপ দিতে শুরু করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) কানাডার অর্থমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে জি-৭ অর্থমন্ত্রীরা নতুন নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার আর্থিক সাহায্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন।
সেই বৈঠকেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনা দেশগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক চাপানোর আহ্বাবন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, তেল বিক্রি করে রাশিয়া যে টাকা আয় করছে, সেই টাকা দিয়ে যুদ্ধের খরচ জোগাচ্ছে দেশটি। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ‘ঐক্যবদ্ধ ভাবে পুতিনের যুদ্ধের আর্থিক জোগান বন্ধ করতে পারলে আমরা রাশিয়ার বিপক্ষে যথেষ্ট অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে সক্ষম হব।’
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.