09/15/2025 ‘সাত্তার বকশ’ পাকিস্তানি ক্যাফে হার মানাল ‘স্টারবাকস’-কে
মুনা নিউজ ডেস্ক
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৪১
ট্রেডমার্ক বিতর্কে পাকিস্তানের সাত্তার বকশের কাছে হেরে গেছে বিশ্বখ্যাত কফি ব্র্যান্ড স্টারবাকস। পাকিস্তানি ক্যাফেটি তাদের সবুজ বৃত্তাকার লোগোতে গোঁফওয়ালা এক ব্যক্তির ছবি রাখে, যা অনেকের কাছে স্টারবাকসের বিখ্যাত মৎসকন্যা লোগোর ব্যঙ্গাত্মক সংস্করণ বলে মনে হয়েছে।
এ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু করে স্টারবাকস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাত্তার বকশের পক্ষেই রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের আদালত।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘ট্রেন্ডস ইন ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রিসার্চ’ (টিআইপিআর) জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই রায়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি লিখেছেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি লাহোরের ড. হাসান মুরাদ। টিআইপিআর হলো একটি দ্বিবার্ষিক পিয়ার-রিভিউ করা, ওপেন-অ্যাক্সেস জার্নাল, যা অনলাইনে এবং মুদ্রিতভাবে প্রকাশিত হয়। এতে সাধারণত ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস বিষয়ক লেখা প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, ২০১৩ সালে উদ্যোক্তা রিজওয়ান আহমেদ ও আদনান ইউসুফ ‘সাত্তার বকশ’ চালু করেন। শুরু থেকেই এর নাম ও নকশা আলোচনার জন্ম দেয়। যদিও প্রতিষ্ঠাতারা দাবি করেন, এটি কোনো অনুকরণ নয়, বরং ব্যঙ্গাত্মক ও সাংস্কৃতিক শিকড়সম্পন্ন নাম।
লোগোর পাশাপাশি অভিনব ছিল সাত্তার বকশের খাবার তালিকাও। মেন্যুতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাদের মিশেল—বার্গার, পিৎজা থেকে শুরু করে সিসারও উপস্থিতি ছিল। তারা ‘বেশরম বার্গার’ পরিবেশন করে পাউরুটি ছাড়া, অন্যদিকে ‘এলওসি পিৎজা’তে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের রূপক তুলে ধরা হয় নিরামিষ ও আমিষ ভাগ করে।
পাকিস্তানের ট্রেডমার্ক আইনে সুপরিচিত ব্র্যান্ডের অনুকরণে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টারবাকসের অভিযোগ, সাত্তার বকশ এ নিয়ম ভঙ্গ করেছে। কিন্তু স্থানীয় ক্যাফে যুক্তি দেয়, তাদের নাম ও নকশা ব্যঙ্গাত্মক এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি, পাশাপাশি খাবারের স্বকীয়তাও প্রমাণ করে তারা নকল নয়।
তাই শেষ পর্যন্ত আদালত সাত্তার বকশের পক্ষেই রায় দেন। ফলে ক্যাফেটি নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.