09/28/2025 উত্তর কোরিয়া এবং মিয়ানমারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
মুনা নিউজ ডেস্ক
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:১৫
দুই দেশের ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র বাণিজ্য নেটওয়ার্কের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এতে একাধিক কোম্পানি ও কর্মকর্তা রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচির অর্থায়নে সহায়তাকারী একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নেটওয়ার্ক মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য বোমা ও বোমা গাইডেন্স কিট সংগ্রহ করত বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে। পুরো অস্ত্র কেনাবেচার প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় অস্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল শুন লেই কোম্পানি লিমিটেড এবং উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোরিয়া মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের (কোমিড) মধ্যে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে অর্থ প্রবাহ বন্ধ করা এবং ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমার সামরিক বাহিনী কর্তৃক বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর নির্বিচার হামলা প্রতিহত করা।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, মিয়ানমারভিত্তিক অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রয়েল শুন লি কোম্পানি লিমিটেড এবং এর পরিচালকদের মধ্যে আউং কো কো উ, কিয়াও থু মিও মিন্ট এবং টিন মিও আউং-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার মাইনিং ডেভেলপমেন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের (কোমিড) বেইজিং-ভিত্তিক ডেপুটি প্রতিনিধি কিম ইয়ং জু মিয়ানমারের এই দুই কর্মকর্তার সঙ্গে কাজ করে দুই ধরনের এয়ারিয়াল বোমা গাইডেন্স কিট, বোমা ও বিমান পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করেন। প্রতিষ্ঠানটি ‘২২১ জেনারেল ব্যুরো’ নামেও পরিচিত, এটি উত্তর কোরিয়ার প্রধান অস্ত্র রপ্তানিকারক সংস্থা এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল সরঞ্জামের প্রধান সরবরাহকারী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম চোল উং নামের এক উত্তর কোরিয়ান ব্যক্তিকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করতেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে চিহ্নিত। সংস্থাটি ইতোমধ্যেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাস ও আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জন হার্লি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচি আমেরিকা ও আমাদের মিত্রদের জন্য সরাসরি হুমকি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ মিশন এবং মিয়ানমারের ওয়াশিংটন দূতাবাস এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
A Publication of MUNA National Communication, Media & Cultural Department. 1033 Glenmore Ave, Brooklyn, NY 11208, United States.