সংগৃহীত ছবি
                                    
ইউক্রেনে ওয়াশিংটন যেসব অস্ত্র-শস্ত্র সরবরাহ করছে, তার অধিকাংশই তার সঠিক গন্তব্যে যাচ্ছে না বরং এগুলোর শেষ গন্তব্য হিসেবে যাচ্ছে কালোবাজারে। পেন্টাগনের সাবেক সিনিয়র উপদেষ্টা কর্নেল ডগলাস ম্যাকগ্রেগর ১৯ আগস্ট, শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এমনটি দাবি করেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, আমেরিকা ইউক্রেনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে এবং এর বেশিরভাগই সম্ভবত কালোবাজারে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। যেখানে এসব অস্ত্র যাওয়ার কথা সেখানে যাচ্ছে না। এসব অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এখন যা ঘটছে তা নিয়ে মনোযোগ ও বোঝার দাবি কিরেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কিয়েভের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে। প্রথম দিকে হালকা অস্ত্র-শস্ত্র দিলেও গত বছরের শেষ নাগাদ তারা ট্যাঙ্কসহ ভারী অস্ত্র দিতে থাকে। এ বছরের শুরু থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ফাইটার জেট, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র সরবরাহের দাবি করে। বেশ কয়েকটি দেশ ইউক্রেনের দাবিতে সাড়াও দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই তারা কিয়েভকে এসব ফাইটার জেট দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে কিয়েভকে এভাবে অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে সতর্ক করে ক্রেমলিন বলেছে, এসব অস্ত্র তাদের বৈধ সামরিক লক্ষ্য হিসাবে বিবেচিত হবে। সে সময় ক্রেমলিন এ আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের এসব অস্ত্র কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে চলে যেতে পারে। একই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মিত্র ইসরায়েলও। তারা দাবি করেছিল, এসব অস্ত্র কালোবাজারের মাধ্যমে শত্রু দেশের কাছেও পৌঁছে যেতে পারে। গত জুনের শেষের দিকে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে শত্রুদের হাতে এসব অস্ত্র পাওয়ার পর বেশকিছু মামলাও করেছিল তেল আবিব।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন উভয়েই এ আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, তাদের কাছে সব অস্ত্রের হিসেব রয়েছে, ফলে এ অস্ত্র কালোবাজারে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সূত্র : স্পুৎনিক নিউজ
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: