সংগৃহীত ছবি
                                    
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার হোয়াইট হাউস, নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল করেছে শত শত ফিলিস্তিনি।
এ সময় ইসরায়েলকে জঙ্গিবিমান ও যুদ্ধজাহাজ দেওয়ায় সমালোচনা করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা বলছেন, প্রতিরোধ গড়া কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মারতে যেভাবে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো না। এ সময় নেতানিয়াহু সরকারকে তহবিল পাঠানোর বন্ধের আহ্বান তারা।
এদিকে ইসরায়েলকে সমর্থন জানাতে পাল্টা মিছিল বের করেন আমেরিকায় বসবাসকারী ইসরায়েলিরা। বিশেষ করে তাদের সরকারের পাশে থাকার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। একই জায়গায় ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ ডাকায় চীর বৈরী দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দিকে একের পর এক রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে অন্তত ৮০০ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও শত শত মানুষ। হামাসের এ হামলার জবাবে গাজা উপত্যকায় পাল্টা বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৫১০ জন ফিলিস্তিনি। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫০। আর পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে আরও ১৬ জন। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হামাসের হামলার পরপর ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াতে বিমানবাহী রণতরীসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ফিলিস্তিনিদের দমনে তেলআবিবকে প্রচুর সামরিক সহায়তার ঘোষণাও দিয়েছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার পরপর হিজবুল্লাহ এই হুমকি দিয়েছে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: