প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন : সংগৃহীত ছবি
                                    ইসরাইল-হামাস সংঘাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল ও ফিলিস্তিনপন্থিদের কাছে দুটি পৃথক চিঠি পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর মধ্যে একটি চিঠিতে ইসরাইলের প্রতি নিজের দৃঢ় সমর্থন, আর অন্যটিতে গাজায় নিহত নিরীহ ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘শোক’ জানিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো চিঠি দুটির অনুলিপি হাতে পেয়েছে এনবিসি নিউজ। এর মধ্যে গত ১ নভেম্বর ইসরাইলপন্থীদের পাঠানো এক চিঠিতে বাইডেন বলেন, ‘ইসরাইলি জনগণ একটি ভয়ংকর সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে, যা ছিল হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদিদের জন্য সবচেয়ে ভয়ানক দিন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইসরাইলের যা যা প্রয়োজন, আমরা তা নিশ্চিত করবো।
অন্যদিকে, গত ৮ নভেম্বর ফিলিস্তিনপন্থিদের উদ্দেশে আরেকটি চিঠি লেখেন প্রেসিডেন্ট। সেই চিঠিতে ইসরাইলের প্রতি সমর্থনের কোনো কথা উল্লেখ ছিল না।
সেখানে বাইডেন বলেন, অনেক নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আমরা তাদের জন্য শোক জানাই। খাবার, পানি ও ওষুধের মতো জীবন রক্ষাকারী সহায়তা যেন অবিলম্বে গাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে আমেরিকান প্রশাসন। সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, একই বিষয়ে একটি চিঠির ভিন্ন ভিন্ন সংস্করণ তৈরি হোয়াইট হাউসের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে নির্বাচনের আগে ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাইডেন যে রাজনৈতিক চাপে পড়েছেন, এই ঘটনা তারই প্রতিফলন।
এর আগে গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিক হতাহত এড়াতে ইসরাইলকে মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও, গোপনে নেতানিয়াহু বাহিনীকে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলের অনুরোধে অস্ত্র বহনকারী অ্যাপাচি বিমানে আরও বেশি পরিমাণে লেজারযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, ১৫৫ মিলিমিটার শেল, নাইট ভিশন ডিভাইস, বাংকার ধ্বংসকারী যুদ্ধাস্ত্র, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও সাঁজোয়া যান অন্তর্ভুক্ত করেছে পেন্টাগন।
জানা গেছে, অক্টোবরের শেষ দিকেই ইসরাইলে সামরিক সহায়তা পাঠানোর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেখানে গোপনেই এসব অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অস্ত্রভান্ডার থেকে সেগুলো ইসরাইলে সরবরাহের কাজ করছে আমেরিকান প্রতিরক্ষা বিভাগ।
আমেরিকান অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরাইল যাতে ‘আত্মরক্ষা’ করতে পারে, তা নিশ্চিতে বেশ কয়েকটি উপায় ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে অভ্যন্তরীণ মজুত এবং বাণিজ্য খাতও রয়েছে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: