অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান : সংগৃহীত ছবি
                                    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে দেখা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তারা গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান গণহত্যা, সুইডেনের ন্যাটো অন্তর্ভুক্তিতে তুরস্কের অনুমোদন এবং তুরস্কের কাছে এফ-১৬ আমেরিকান যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
৬ জানুয়ারি, শনিবার ইস্তাম্বুলের ভাহদেত্তিন ম্যানশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তুরস্কের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এমআইটি) প্রধান ইব্রাহিম কালিন, এরদোয়ানের প্রধান উপদেষ্টা আকিফ ছাতে কুলুছ এবং আঙ্কারায় নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত জেফ ফ্লেকও উপস্থিত ছিলেন। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক সম্পর্কে আর কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
এর আগে দিনের শুরুতে ব্লিঙ্কেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে দেখা করেন। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে লিখেছে, বৈঠকে মন্ত্রীরা গাজার যুদ্ধ এবং মানবিক সংকট, সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান প্রক্রিয়া, দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তুরস্ক সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিস, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইসরায়েল, পশ্চিম তীর এবং মিশর যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় ব্লিঙ্কেন বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা, জিম্মিদের মুক্তি, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদান, প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরুদ্ধার এবং গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোধে আলোচনা করবেন।
তিনি গাজায় সহিংসতা কমানো, ইয়েমেনে হুথি হামলা রোধ এবং লেবাননে উত্তেজনা এড়ানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়েও কথা বলবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার আমেরিকান প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন। তিনি ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অগ্রগতির উপরও জোর দেবেন।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার কারণে ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে এবারের মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন ব্লিঙ্কেন। ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৪ বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন তিনি।
উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৭ হাজার ৯১০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু ছিল।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: