ঋণসীমা বাড়াতে সম্মত বাইডেন– ম্যাককার্থি : সংগৃহীত ছবি
                                    
জাতীয় ঋণসীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি।
২৭ মে, শনিবার বাইডেন ও ম্যাকার্থি এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা হওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেন। বাইডেন ও ম্যাকার্থির মধ্যে সমঝোতা যুক্তরাষ্ট্রের ঋণখেলাপি এড়ানোর প্রথম ধাপ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ আগামী ৫ জুন। নির্ধারিত এই সময়ের (এক্স-ডেট) আগে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে বাইডেন ও ম্যাকার্থি দফায় দফায় বৈঠক করেন। শেষ সময়ের দিন কয়েক আগে অবশেষ তাঁরা সমঝোতায় পৌঁছালেন। জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে আগামী বুধবার কংগ্রেসে ভোট হবে।
রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ম্যাকার্থি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর আমরা নীতিগতভাবে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি।’
ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে সবশেষ গতকাল ২৭ মে শনিবার বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন ম্যাকার্থি। পরে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার বলেন, তিনি রোববার (আজ) বাইডেনের সঙ্গে আবার আলোচনা করবেন। ঋণসীমা বাড়ানো-সংক্রান্ত বিলটির চূড়ান্ত খসড়া তদারকি করবেন। তারপর বুধবার কংগ্রেসে ভোট হবে।
বাইডেন তাঁর বিবৃতিতে এ সমঝোতাকে জনগণের জন্য একটি সুসংবাদ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আলোচনায় বড় সাফল্য এলেও ম্যাকার্থি সতর্ক করে বলেছেন, বিলটিতে কংগ্রেসের সমর্থন পেতে এখনো অনেক কাজ করতে হবে।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বা ৩১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার। গত জানুয়ারি মাসেই এ ঋণসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর থেকে ফেডারেল সরকার নানা ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করে দেশের বিভিন্ন দেনা পরিশোধ করে আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণসীমা বাড়াতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হয়ে পড়বে।
সূত্র- আল জাজিরা
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: