পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং

আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবহিত

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ মে ২০২৫ ১২:৩৯

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা এখানে একক কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। একই সঙ্গে সবার ক্ষেত্রে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। পাশাপাশি সবার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া সমর্থন করে।

যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র থমাস টমি পিগোট।

একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম আওয়ামী লীগ। কার্যত তাদেরকে মুছে দেয়া হচ্ছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় মুছে দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যৎ নির্বাচন থেকে তাদেরকে বাইরে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থায় বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটির সব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিভঙ্গি কি? আমি আপনাকে বলেছি, এর আগে ট্যামি (ব্রুস) বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ওপর জোর দিয়েছিলেন। বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে। এখন তারা (বাংলাদেশ) এই দলটিকে তাদের কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ে আপনার কি কোনো উদ্বেগ আছে?

জবাবে টমি পিগোট বলেন, আমি আপনাকে বলতে পারি যে, স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে এই দলটির এবং এর নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে আমরা অবহিত। আমরা বাংলাদেশে কোনো একটি রাজনৈতিক দলকে অন্য একটির চেয়ে বেশি সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমর্থন করি। সবার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া সমর্থন করি। বাংলাদেশ সহ সব দেশের প্রতি আমরা অনুরোধ করি সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণভাবে সভা সমাবেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য।

অন্য এক প্রশ্নে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, রিপোর্ট আছে যে, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে লস্করে তৈয়বার সদস্য হারুন ইজহারের সাক্ষাৎ হয়েছে, কাশ্মীর সহিংসতায় রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতাদের ক্রমবর্ধমান সমর্থন রয়েছে। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকাকে উগ্র মতাদর্শের প্রসার ও সন্ত্রাসবাদকে মজবুত করার ক্ষেত্রকে কিভাবে দেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?

এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি টমি পিগোট। তিনি বলেছেন, কিছুটা পিছনে গিয়ে আমি আপনাকে আবার বলবো যে এর আগে এই পোডিয়াম থেকে যা বলা হয়েছিল, আমিও তাই বলবো। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের কমপক্ষে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বকে আমরা মূল্যায়ন করি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: