ওয়ারেন বাফেট ৬ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিবেন ৫ টি দাতব্য সংস্থাকে

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ জুন ২০২৫ ১৭:০০

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ও ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট আবারও বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ইনকর্পোরেশনের ৬ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার দান করেছেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনসহ তার পরিবারের আরও চারটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে। ২০০৬ সাল থেকে দান শুরু করার পর এটিই তার সবচেয়ে বড় এককালীন বার্ষিক অনুদান।

এই দানের ফলে বাফেটের মোট দানের পরিমাণ ছয় হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেল। এর মধ্যে গেটস ফাউন্ডেশন পেয়েছে ৯৪ লাখ ৩০ হাজার ও সুসান থম্পসন বাফেট ফাউন্ডেশন পেয়েছে ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার। তিন সন্তানের নামে পরিচালিত তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান-হাওয়ার্ড জি. বাফেট ফাউন্ডেশন, শেরউড ফাউন্ডেশন ও নোভো ফাউন্ডেশন পেয়েছে সমানভাবে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৩৬৬টি করে শেয়ার।

এ অনুদানের পরও ওয়ারেন বাফেট বার্কশায়ারের মোট শেয়ারের ১৩ দশমিক ৮ শতাংশের মালিক রয়ে গেছেন। অনুদানের আগে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫২ বিলিয়ন ডলার, যা তাকে বিশ্বের পঞ্চম ধনী ব্যক্তি করেছিল। অনুদানের পর তার অবস্থান হয়েছে ষষ্ঠ।

এক বিবৃতিতে বাফেট বলেছিলেন, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের কোনো শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা তাঁর নেই; বরং তিনি তাঁর সম্পদের বেশির ভাগটাই দান করে দিতে চান। বাফেটের বয়স এখন ৯৪ বছর। তিনি ২০০৬ সাল থেকে তাঁর সম্পদ দান করা শুরু করেন।

মানবহিতৈষী কাজে নিজের অর্জিত সম্পদ ব্যয় করার ইচ্ছা থেকে গত বছর বাফেট তাঁর উইল পরিবর্তন করেন। সেখানে উল্লেখ করেন, মৃত্যুর পর তাঁর বাকি সম্পদের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশই একটি দাতব্য ট্রাস্টে দেওয়া হবে, যেটির তত্ত্বাবধান করবেন তাঁর সন্তানেরা।

বাফেটের তিন সন্তানের মধ্যে সুসি বাফেটের বয়স ৭১, হাওয়ার্ড বাফেটের ৭০ ও পিটার বাফেটের বয়স ৬৭ বছর। সুসি বাফেট পরিচালিত সুসান থম্পসন বাফেট ফাউন্ডেশন মূলত প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে।

শেরউড ফাউন্ডেশন নেব্রাসকার স্থানীয় এনজিও ও শিশু শিক্ষায় সহায়তা করে। হাওয়ার্ড জি. বাফেট ফাউন্ডেশন বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা, মানবপাচার ও সংঘাত নিরসনে কাজ করে। নোভো ফাউন্ডেশন কাজ করে প্রান্তিক নারীদের অধিকার এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: