মিনিয়াপোলিসে স্কুলে গুলি বন্দুক হামলা, গায়ে লেখা 'ভারতে হামলা করো, ট্রাম্পকে হত্যা করো'

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ আগস্ট ২০২৫ ১৯:০৩

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিস শহরে একটি ক্যাথলিক স্কুলের গির্জায় ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালের প্রার্থনা চলাকালে এক বন্দুকধারীর গুলিতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। তবে হামলাকারীর ব্যবহৃত অস্ত্রেই উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার বন্দুকে লেখা ছিল—‘ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করো’ এবং ‘ভারতে পরমাণু হামলা চালাও’।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হামলাকারীর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এসব লেখা দেখা গিয়েছিল। পরে অবশ্য ভিডিওটি মুছে ফেলা হয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বন্দুকধারীর নাম রবিন ওয়েস্টম্যান (২৩)। সে হামলায় তিন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছিল—একটি রাইফেল, একটি শটগান এবং একটি পিস্তল। গির্জার ভেতরে ঢুকে একটানা বহু রাউন্ড গুলি চালায় সে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্কুল প্রাঙ্গণের পার্কিং লট থেকে ওয়েস্টম্যানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে।

হামলাকারীর ইউটিউব চ্যানেল রবিন ডব্লিউ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গুলি চালানোর আগে অন্তত দুটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল। এর একটি ভিডিও প্রায় ১০ মিনিট দীর্ঘ, যেখানে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও লোড করা ম্যাগাজিন প্রদর্শন করা হয়।

ম্যাগাজিনগুলোর গায়ে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল—‘ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করো’, ‘এখনই ট্রাম্পকে হত্যা করো’, ‘ইসরায়েলের পতন ঘটাতে হবে’, ‘ইসরায়েলকে পুড়িয়ে দাও’, এমনকি একটি অস্ত্রের গায়েই লেখা ছিল— ‘নিউক ইন্ডিয়া’ অর্থাৎ ‘ভারতে পরমাণু হামলা চালাও’।

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, এ হামলার পেছনে কী ধরনের আদর্শিক প্রভাব ছিল, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওয়েস্টম্যানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইউটিউব কার্যক্রম ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ইতিহাস নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল ও ধর্মীয় স্থানে বন্দুক হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটে, তবে এ ঘটনায় অস্ত্রে লিখিত বার্তাগুলো বিষয়টিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এখন তদন্তকারীরা খুঁজছেন-—ওয়েস্টম্যান এককভাবে নাকি কোনো চরমপন্থি গোষ্ঠীর প্রভাবে এই হামলা চালিয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: