ফাইল ছবি
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে কড়াকড়ি বেড়েছে আমেরিকায়। প্রশ্ন উঠেছে অভিবাসন দফতরের অতিসক্রিয়তা নিয়েও। সেই আবহে এ বার খোদ প্রেসিডেন্ট বললেন, অভিবাসন ও শুল্ক দফতর (আইসিই) যা করছে, তা যথেষ্ট নয়। অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে তাড়াতে প্রয়োজনে আরও কড়া হবে আইসিই।
রবিবার চ্যানেল সিবিএসে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, অভিবাসন সংক্রান্ত যে ‘আক্রমণাত্মক’ অভিযান নিয়ে এত বিক্ষোভ হচ্ছে, এমনকি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে, তা আদৌ যথেষ্ট নয়। গত শুক্রবার সিবিএস-এর ‘সিক্সটি মিনিট্স’ নামে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই এ কথা বলেন ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করার জন্য এই সংবাদ চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ট্রাম্প। সেই মামলার রফা করতে ১৬ মিলিয়ন ডলার খসাতে হয় সিবিসি-কে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত এটিই ট্রাম্পের সিবিসি-কে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকার।
রবিবারের অনুষ্ঠানে সঞ্চালক নোরা ও’ডোনেল ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ‘‘ অভিবাসন দফতরের অভিযান মাত্রা ছাড়িয়েছে। দফতরের কর্তারা সন্দেহের বশে বহু মানুষকে হেনস্থা করছেন। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে। কখনও আবার গাড়ির জানলার কাচ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। আপনি কি এগুলো সমর্থন করেন?’’ প্রশ্ন শুনে অবশ্য বিব্রত হননি প্রেসিডেন্ট। বরং উত্তর দিয়েছেন, ‘‘আমার মতে, ওরা এখনও তেমন কিছুই করেনি!’’ ট্রাম্পের আরও দাবি, প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জো বাইডেন কর্তৃক নিযুক্ত ‘উদারমনস্ক’ বিচারকদের জন্যই এত দিন অভিবাসন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এর পরেই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘এই লোকগুলোকে দেশ থেকে তাড়াতেই হবে।’’
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই ট্রাম্পের ‘আক্রমণাত্মক’ অভিবাসন নীতি নিয়ে বার বার উত্তাল চেহারা নিয়েছে আমেরিকার শহরগুলি। এক বন্দির মৃত্যু এবং দু’জন আহত হওয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে আরও। তবে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমি বিশ্বকে তোপ দেগে প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থানে অটল। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জের মদতেই পশ্চিমের দেশগুলিতে অনুপ্রবেশ চলছে বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: