ফাইল ছবি
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলিউম বাড়ানোর কথা বলে ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে উপস্থিত সমর্থকদের মাঝে রীতিমতো, চাঞ্চল্য তৈরি করেছেন নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। তার এ বক্তব্যের পর করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তার বিজয় ভাষণে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’
৩৪ বছর বয়সী মামদানি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, যদি এমন কেউ থাকে, যদি কোনো শহর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজনের দ্বারা প্রতারিত একটি জাতিকে শেখাতে পারে, কীভাবে তাকে হারাতে হয়, তবে তা হলো নিউইয়র্ক, এটা সেই শহর, যে শহর ট্রাম্পকে জন্ম দিয়েছে। আর কোনো স্বৈরশাসককে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা, যে ব্যবস্থা তাকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করেছে।
মামদানি আরও বলেন, এভাবে শুধু ট্রাম্পই নয়, থামানো হবে পরের জনকেও। মামদানির এ ভাষণ চলাকালেই ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে কেবল লেখেন, ‘...এবং শুরু হলো!’
ট্রাম্প আগেও মামদানিকে কমিউনিস্ট ও পাগল বলে উপহাস করেছিলেন। এমনকি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, মেয়র হিসেবে মামদানি দায়িত্ব নিলে নিউইয়র্ক সিটিকে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। তবে এসব হুমকি থামাতে পারেনি মামদানির বিজয়। মেয়র নির্বাচিত হয়েই প্রথম ভাষণেই তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, তার প্রশাসন জমি ও বাড়ির মালিকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনবে। নিউইয়র্ক শহরের ট্রাম্পরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ভাড়াটিয়াদের শোষণ করে চলেছেন। তিনি আরও বলেন, তারা শ্রমিক ইউনিয়নের পাশে থাকবেন, তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করবেন।
সবচেয়ে জোরালো করতালিটি আসে যখন মামদানি ঘোষণা করেন, নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর হিসেবে, অভিবাসীদের হাতে গড়া, অভিবাসীদের শক্তিতে চালিত, আর আজ রাত থেকে অভিবাসীর নেতৃত্বে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুনে রাখুন, আমাদের কারও কাছে পৌঁছাতে চাইলে, আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে ডিঙিয়ে যেতে হবে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: