ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিলেন নিউইয়র্কের নব নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৬ নভেম্বর ২০২৫ ২০:২১

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

নিউইয়র্কের নব নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার জানিয়েছেন, জীবনযাত্রার ব্যয় সংক্রান্ত ইস্যুতে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী।

মুসলিম বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিকের দ্রুত উত্থান এবং মেয়র পদে বিজয় দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি হাস্যরসের সঙ্গে বলেন, “হোয়াইট হাউস এখনো আমাকে অভিনন্দন জানায়নি।” তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিউইয়র্কের মানুষের সেবা ও জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়ে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

জীবনযাত্রার ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি—এই তিনটি ইস্যুই মামদানির নির্বাচনী প্রচারের মূল ভিত্তি ছিল, যা সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর প্রচারণাকে ছাপিয়ে গেছে। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্টের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো—শুধু সমস্যা চিহ্নিত করলেই হবে না, তা সমাধানের জন্যও কাজ করতে হবে।”

মামদানি ট্রাম্পকে সমালোচনা করে বলেন, “একদিকে তিনি খাদ্যপণ্যের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অন্যদিকে সরকার বন্ধ রেখে খাদ্য সহায়তা স্থগিত করতে চেয়েছেন—এটি ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।”

বিনামূল্যে বাসযাত্রা, ভাড়া নিয়ন্ত্রণ ও সর্বজনীন শিশুসেবা চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজয়ী হওয়া মামদানি বলেন, “দেশজুড়ে রিপাবলিকানরা ভয় পাচ্ছে—কারণ আমরা যা বলেছি, তা বাস্তবায়ন করব।”

এদিন তিনি পাঁচজন নারীকে নিয়ে প্রশাসনের রূপান্তর কমিটি (ট্রানজিশন টিম) ঘোষণা করেন। এতে রয়েছেন লিনা খান, যিনি জো বাইডেন সরকারের অধীনে ফেডারেল ট্রেড কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং মারিয়া তোরেস-স্প্রিংগার, যিনি বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামসের উপপ্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

মামদানি আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন প্রশাসন দ্রুত কার্যক্রম শুরু করবে এবং শহরের মানুষের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: