নববর্ষে তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশাল সমাবেশ ও দোয়ার আয়োজন : সংগৃহীত ছবি
                                    গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর ধারাবাহিক অত্যাচার শুরু করেছে দখলদার ইসরাইল। শুরু থেকেই ইহুদিবাদীদের এই হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে তুরস্ক। তবে তুর্কিদের এবারের নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশের বিষয়টি ছিল ভিন্নরকম।
নববর্ষের দিন ফজর নামাজের পরই দেশটির ঐতিহ্যবাহী নগরী ইস্তাম্বুলে ইসরাইলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের পাশাপাশি মজলুম ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশাল সমাবেশ ও দোয়ার আয়োজন করে তুর্কিরা।
১ জানুয়ারি, সোমবার ফজরের নামাজের পর ইস্তাম্বুলের বিখ্যাত আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদ, সুলতান আহমদ মসজিদসহ কয়েকটি মসজিদে এই সংহতি সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সবাই গালাতা সেতু হয়ে বসফরাস প্রণালীর দিকে যায়। তুর্কি সেনাবাহিনীর শহীদ ও ফিলিস্তিনি জাতির স্মরণে অনুষ্ঠিত দোয়ায় অংশ নেয় দেশটির সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ হাজার হাজার মুসল্লি।
তুর্কি ইয়ুথ এনডাউমেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় ন্যাশনাল উইল প্ল্যাটফরমসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ‘শহীদদের জন্য দোয়া এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি’ শীর্ষক এই আয়োজন করে। এ সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে ‘অপরাধী ইসরাইল, ফিলিস্তিন ছেড়ে দাও’, ‘আমাদের প্রাণ আল-আকসার মুক্তির জন্য’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে মসজিদ প্রাঙ্গণে সমবেত জনতা।
এদিকে ২০২৩ সালের বিদায়কালে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে জার্মানি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার বার্লিনের অ্যাডেনাউয়ের প্ল্যাটজ স্কোয়ারে ইউনাইটেড প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল কমিটি আয়োজিত সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানায়।
এদিকে প্যারিসের চ্যাটেলেট মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা সবুজ, লাল ও কালো রঙে নিজেদের আঙুল এঁকে যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়। এ সময় পর্দার মাধ্যমে গাজাবাসীর ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার জেরে গাজা উপত্যকায় হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরাইল। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়; যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী রয়েছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর গাজায় গণহত্যার অপরাধে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি ও ইয়েনি শাফাক
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: