সংগৃহীত ছবি
                                    
ইসরায়েলে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধে ভোট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তবে সিদ্ধান্তটি কখন কার্যকর হতে পারে তা জানা যায়নি।
গাজায় সাত মাস ধরে চলা সহিংসতায় আল জাজিরার ভূমিকাকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে তেল আবিব। ফলে সাময়িকভাবে আল জাজিরা বন্ধের অনুমতি দিয়ে ইসরায়েলের সংসদ একটি আইন পাস করে এবং ০৫ মে রবিবার এর ওপর মন্ত্রিসভায় ভোট হয়।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমার নেতৃত্বাধীন সরকার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলে উসকানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
এক্সে আরেকটি পোস্টে ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি জানান, তিনি আল জাজিরার বন্ধের আদেশে সই করেছেন যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এছাড়াও আল জাজিরার ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, সার্ভার, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী।
এদিকে ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তের ফলে আল জাজিরার সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের বিরোধ আরও বাড়ল। এটি এমন এক সময় আল জাজিরাকে নিষিদ্ধ করছে, যখন কাতার গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ইসরায়েলের অভিযোগ, আল জাজিরা পক্ষপাতিত্ব করে এবং এটি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসকে সহায়তা করছে। যদিও সংবাদমাধ্যমটি এই অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে।
তবে সাত মাস ধরে চলা হামাস-ইসারায়েল যুদ্ধে গাজায় উপস্থিত আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর মধ্যে আল জাজিরা অন্যতম যারা বিমান হামলা এবং জনাকীর্ণ হাসপাতালের রক্তাক্ত দৃশ্য সম্প্রচার করেছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্তও করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: