সংগৃহীত ছবি
                                    ইসরায়েলি বাহিনীর জিপে বেঁধে নিয়ে যাওয়া সেই আহত ফিলিস্তিনি বেঁচে আছেন। মুজাহিদ আবদি নামের ওই ফিলিস্তিনি যুবক এখন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ওই ঘটনার পর থেকে তিনি আর ঘুমাতে পারছেন না। খবর আল জাজিরা।
হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে থাকা মুজাহিদ আবদি বলেন, জেনিনে তিনি তার মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে ঘরের বাইরে পা রাখতেই তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মুখে পড়েন। এ সময় তিনি বাহু ও পায়ে বুলেটবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় তিনি একটি গাড়ির পেছনে আশ্রয় নেন।
দুই ঘণ্টা লুকিয়ে থাকার পর ইসরায়েলি সেনারা তাকে দেখে ফেলে। এরপর তার পরিবার থেকে তার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চাইলে ইসরায়েলি সেনারা তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। পা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। একসময় তিনি ভেবেছিলেন, ওইদিনই তিনি মারা যাবেন।
আবদি আরও বলেন, ইসরায়েলি সেনারা আমাকে মারার সময় হাসছিল ও উপহাস করছিল। তাদের দুজন আমার হাত এবং দুজন আমার পা ধরেছিল। তারপর আমাকে দোলাতে দোলাতে জিপের সামনে ছুড়ে মারে। প্রথমবারে আমি নিচে পড়ে যাই। পরে তারা আবারও আমাকে উঠিয়ে হুডের ওপর ছুড়ে মারে এবং জিপের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এ অবস্থায় তারা প্রায় ২০ মিনিট গাড়ি চালিয়ে যায়। ওই গাড়ির হুড খুবই গরম ছিল। ফলে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে যায়।
এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরায়েলি সেনারা। কিন্তু অভিযুক্ত সেনারা তাদের এ আচরণের কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ ধরনের আচরণ ঠিক হয়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে।
আবদি বলেন, এরপর ভেবেছিলাম, তারা আমাকে আর মারবে না। কিন্তু আমার ধারণা সত্য হয়নি। তারা আবার আমাকে মেরেছিল। সে সময় ভেবেছিলাম, মারাই যাব। কারণ তখন আমার শরীরের গুলিবিদ্ধ স্থানগুলো থেকে রক্ত ঝরছিল। পরে আমাকে একটি ফিলিস্তিনি বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাকে রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: