রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন : সংগৃহীত ছবি
এক বছর আগে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের কয়েক মিলিয়ন মানুষ সজ্ঞানে তাদের পিতৃভূমির সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দোনেস্ক, লুগানস্ক, জাপোরোজ্জিয়া ও খেরসন অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রথম বার্ষিকীতে দেয়া এক ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ মন্তব্য করেন।
৩০ সেপ্টেম্বর, শনিবার প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, চার অঞ্চলের রুশ ভূখণ্ডে অন্তর্গত হওয়া ছিল একটি ‘সত্যিকারের ঐতিহাসিক ঘটনা।’
তিনি বলেন, “দোনবাস, খেরসন ও জাপোরোজ্জিয়া অঞ্চলের কয়েক মিলিয়ন অধিবাসী তাদের পিতৃভূমির সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
আন্তজাতিক রীতিনীতি মেনে এসব অঞ্চলে যে গণভোট হয়েছে তাতে এসব অধিবাসী সজ্ঞানে স্বতস্ফূর্তভাবে রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পুতিন দাবি করেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সেই অভিযানের ৬ মাসের মধ্যে দোনেস্ক, লুগানস্ক, জাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন- এই চার অঞ্চলের দখল নিতে সক্ষম হয় রুশ বাহিনী। পরে ওই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর এক গণভোটের ভিত্তিতে ওই চারটি অঞ্চলকে নিজ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে রাশিয়া।
ওই গণভোটে ইউক্রেনপন্থি ও মস্কোপন্থি- উভয় মতের সমর্থক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং তাতে জয়ী হন মস্কোপন্থী প্রার্থীরা। শুক্রবার তার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পুতিনের ভিডিওবার্তাটি প্রকাশ করেছে রাশিয়ার সরকার। ভিডিওবার্তায় যুদ্ধবিধ্বস্ত চারটি অঞ্চলকে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, সড়ক, জাদুঘর এবং স্মৃতিস্তম্ভ পুনঃনির্মাণ ও পুনর্গঠন করা হবে।”
পুতিন আরও বলেন, “আমাদের সামনে কঠিন পথ ও সমস্যাগুলো সমাধান করাটা চ্যালেঞ্জিং। আমাদের লক্ষ্য ঐতিহাসিক অঞ্চলগুলো পুনর্গঠন এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে একটি মহান কাজ বাস্তবায়ন করা। অবশ্যই আমরা নির্ধারিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন করব আমরা।”
সূত্র : পার্সটুডে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: