সংগৃহীত ছবি
                                    মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর আরও বেশ কয়েকটি ঘাঁটি দখল করেছে বিদ্রোহীরা। এছাড়া মাত্র তিনদিনে বিদ্রোহীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে দেশটির অন্তত ৬২ জন সেনা। ৫ ফেব্রুয়ারি, সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারজুড়ে হামলা জোরদার করেছে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহীরা। এতে গত তিনদিনে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসের (ইএও) হামলায় ৬২ জন সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিও দখল করেছে বিদ্রোহীরা।
দেশটির সাগায়িং, ম্যাগওয়ে ও মান্দালা অঞ্চলসহ কাচিন ও কারেন প্রদেশে এসব ঘাঁটি দখল ও সেনা হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।
বেশকিছু হামলার কথা পিডিএফ ও ইএও’র কাছে থেকে নিশ্চিত হয়েছে ইরাবতী। তবে অনেক সেনার হতাহতের খবর স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের ‘অপারেশন ১০২৭’ শুরুর পর থেকে এই জাতিগত জোট উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের বেশিরভাগ অংশ দখলে নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ২০টি শহর এবং চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ। মিয়ানমারের সামরিক শাসকের সঙ্গে চীনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর জোটটি জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তাদের আক্রমণ বন্ধ করেছিল।
গত ১৩ নভেম্বর রাখাইনে অপারেশন-১০২৭ আবারও শুরু করার পর থেকে আরাকান আর্মি ১৬০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি দখল করেছে, যার মধ্যে সিত্তওয়ের কাছে পাউকতাও শহর এবং চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপও রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারে তিন বছর পূর্ণ করল সবশেষ সেনাশাসন। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে রয়েছে জান্তা সরকার। গণতন্ত্রপন্থি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো একের পর এক অঞ্চল দখল করে ক্রমেই রাজধানীর দিকে এগোচ্ছে। এতে, যেকোনো সময় পতন হতে পারে স্বৈরশাসনের।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: