সংগৃহীত ছবি
                                    ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিন বছর বয়সী এক শিশুর লাশ। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলটিতে আগুন দিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে খবরটি জানা গেছে।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, তিন বছরের সেই শিশু স্কুল থেকে বাড়ি না ফিরলে শুরু হয় অনুসন্ধান। তার পরিবারের সদস্যরা স্কুলটিতে পৌঁছালে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিশুটির অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এতে পরিবারের সদস্যদের মাঝে সন্দেহ তৈরি হয়, বেড়ে যায় উদ্বেগ।
স্কুল প্রাঙ্গণেই হন্যে হয়ে শিশুটিকে খুঁজতে থাকে তার পরিবার। অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় শিশুর লাশ। স্কুলের সীমানার মধ্যেই একটি নর্দমার মধ্যে লুকিয়ে রাখা শিশুটির মরদেহ খুঁজে পান তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনা সম্পর্ক অবহিত করা হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পাটনার পুলিশ সুপার চন্দ্র প্রকাশ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে স্কুলে ঢুকতে দেখা গেলেও বের হতে দেখা যায়নি। তাই তদন্ত চলছে।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে আমরা দেখেছি, শিশুটি স্কুলে প্রবেশ করছে। কিন্তু কোনো সময়েই তাকে স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে দেখা যায়নি। আমরা এটিকে হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত করব। কারণ, তারা (স্কুল কর্তৃপক্ষ) লাশটি লুকিয়ে রেখেছিল। এখানে অপরাধমূলক উদ্দেশ্য প্রকাশ পাচ্ছে। এর মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’
এদিকে, এ ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে শিশুটির পরিবার ও তাদের সম্প্রদায়ের মানুষ। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং স্কুলের দেয়ালের কিছু অংশে আগুন দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা স্কুলে যাওয়ার রাস্তাও অবরোধ করে রেখেছে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: