সংগৃহীত ছবি
                                    ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েল এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগেও ইসরায়েল বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে হামাস ও ইরানের নেতাদের গুপ্তঘাতকের মাধ্যমে হত্যা করেছে।
ইস্তানবুলের জাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কেন্দ্রের পরিচালক সামি আল-আরিয়ান ইরানে ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর ইসরায়েলকে একটি ‘নিয়ন্ত্রণহীন পাগল কুকুর’ এবং একটি ‘সন্ত্রাসী দুষ্কৃতকারী রাষ্ট্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আল জাজিরাকে আল-আরিয়ান বলেন, ‘এটি কোনও সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ নয়। এই হত্যাকাণ্ডের একটি বড় প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেন, এটি উত্তেজনার ব্যাপক বৃদ্ধি। গতকাল লেবাননে যা ঘটেছে, আজ তেহরানে যা ঘটছে, ইসরায়েলের এই উত্তেজনা বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি হবে।
আল-আরিয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এই ‘দুষ্কৃতকারী রাষ্ট্র’কে নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার আগে এটি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
কয়েক মাস আগে ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে আক্রমণ করেছিল। জবাবে ইরান ১৪ এপ্রিল ইসরায়েলের ওপর ৩০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল আক্রমণের কথা জানতো। এটি অঞ্চলে একটি বড় ঘটনা ছিল।
এখন ইরানে হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর বড় প্রশ্ন হচ্ছে, ইরান কী করবে? পুরো অঞ্চলের জন্য এর বড় প্রভাব হতে চলেছে। ইসরায়েলে ইরান ফের আক্রমণ চালাতে পারে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এটিকে একটি কাপুরুষোচিত কাজ এবং বিপজ্জনক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আব্বাস ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একতা, ধৈর্য এবং স্থিতিশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : আল জাজিরা
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: