ফাইল ছবি
                                    দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। শুরু হয়েছে অভিশংসন প্রক্রিয়াও। তবে এমন পরিস্থিতিতেও তিনি পদত্যাগ না করে ক্ষমা চাইলেন।
সামরিক আইন জারির চেষ্টার পর বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের একাংশ তার পদত্যাগ চাইছে।
ইউন বলেন, সামরিক আইন জারির পর আমি রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও আইনগত বিষয়কে পরিহার করছি না। তবে সিদ্ধান্তটি হতাশা থেকে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
১৯৮০ সালের পর কোরিয়ায় প্রথম বারের মতো গত মঙ্গলবার সামরিক আইন জারি করে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েন ইউন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, যারা আশাহত হয়েছেন তাদের প্রতি আমি দুঃখিত ও ক্ষমা চাচ্ছি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎ এক নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রেসিডেন্ট ইউন আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। এই আদেশের পর সেনা সদস্যরা পার্লামেন্টে ঘিরে ফেললেও প্রায় ১৯০ জন আইনপ্রণেতা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে ভোটকক্ষে প্রবেশ করেন এবং আইনটি বাতিল করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নিজ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
তাছাড়া সামরিক আইন জারির সঙ্গে জড়িত এমন তিনজন সামরিক কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এই তিনজন সামরিক কমান্ডারসহ আরও সাতজন অফিসারের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছেন প্রসিকিউটররা।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: