
পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধি করছে ইরান। এই অভিযোগ আমেরিকার। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির বিরুদ্ধে মুখর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এক মাসেই আগেই হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, যদি ইরান তাকে হত্যার চেষ্টা করে তা হলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু, আচমকাই পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিল। ইরানকে চিঠি লিখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওই চিঠিতে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
ইরানের সাথে একটি পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী খোদ ট্রাম্প। তিনি আশা করছেন যে তেহরানের কর্তারা আলোচনায় রাজি হবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন "আমি আশা করি ইরানের নেতৃত্ব আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো বিষয় হতে চলেছে।" শুক্রবার সম্প্রচারিত ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
চিঠিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উদ্দেশ্যে লেখা বলে মনে করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে কোনও অনুরোধের জবাব দেয়নি। রাশিয়ার পররাষাট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালির সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পরিস্থিতি সমাধানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
গত বছরের শেষে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক নজরদারি সংস্থা 'ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি' (আইএইএ)-র একটি প্রতিবেদন থেকে প্রথম জানা গিয়েছিল, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইরান। তাদের কাছে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসে বিশ্বের তাবড় শক্তিধর দেশগুলি।
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি নিরাপত্তা পরিষদে খোলা চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, প্রয়োজনে ইরানের পরমাণু অস্ত্রধর দেশ হয়ে ওঠা আটকাতে তারা সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত। চিন্তা বাড়ে আমেরিকারও। সেই আবহে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেয়ার এক মাসের মাথায় ইরানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে চিঠিও লিখলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: