ইউক্রেনের ক্ষোভ

উত্তেজনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়া সফরে শি জিনপিং

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৮ মে ২০২৫ ১৮:২১

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

মস্কোর রেড স্কয়ারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিতে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এমন এক সময় মস্কোতে পা রাখলেন শি যখন প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে লিপ্ত পুতিন।

বিশেষ করে চীনা নেতার এমন জাকজমকপূর্ণ সফরে মোটেও সন্তুষ্ট নয় কিয়েভ। শি জিনপিংয়ের অবতরণের আগ মুহূর্তে মস্কোকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়ে যার প্রমাণ দিয়েছে তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়, বিশ্বের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও গ্যাস ক্রয়ের দিক দিয়ে সবার ওপরে রয়েছে চীন। এতেই দুই দেশের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া যায়। মস্কোর সঙ্গে এমন অর্থনৈতিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে পেরেছে বেইজিং।

বুধবার শি’কে বহন করা বিমানটি মস্কোর ভনুকভো বিমানবন্দরে নামে। তার অবতরণের কিছুক্ষণ আগেই রুশ কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজধানী অভিমুখে আসা আরেকটি ইউক্রেইনীয় ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে তারা। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন মস্কোকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। চীনের প্রেসিডেন্টের বিমান অবতরণের মাত্র তিন ঘণ্টা আগেও শহরের একটি প্রধান বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বুধবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, আগের রাতে রাশিয়াও কিয়েভকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল, যাতে এক মা ও তার সন্তান নিহত হয়। রাশিয়া বলেছে, তারা কেবল ইউক্রেইনের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করেই হামলা চালায়, বেসামরিক স্থাপনা নয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্রদের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে শুক্রবার মস্কোর রেড স্কয়ারে যে কুচকাওয়াজে শি’সহ অন্তত ২৮টি দেশের শীর্ষ নেতারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েও যে রাশিয়াকে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, তা দেখাতে প্রেসিডেন্ট পুতিন যখন বদ্ধপরিকর, সেসময় মস্কোতে বিশ্বনেতাদের সফর ইউক্রেনকে নারাজ করেছে।

কেননা ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি মস্কোর ৯ মের কুচকাওয়াজে সেনা না পাঠানোর অনুরোধ করেছিল। বলেছিল, অনেক দেশ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল, এখন তাদের সেনা মস্কোর কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকলে ওই নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: