পাকিস্তানের ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়েছে ভারতের বিমান বাহিনী: কুরেশি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ মে ২০২৫ ২০:১৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি শনিবার(১০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপর ভারতের হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করার পর, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এর কঠোর জবাব দিয়েছে।

কর্নেল কুরেশি বলেন, ভারতের বিমান বাহিনী সুনির্দিষ্টভাবে পাকিস্তানের কারিগরি স্থাপনা, কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, রাডার সাইট এবং অস্ত্র ডিপোগুলোতে হামলা চালিয়েছে। রফিকি, মুরিদ, চাকলালা, রহিমইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ায় অবস্থিত পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও, পসরুরে অবস্থিত একটি রাডার সাইট এবং শিয়ালকোটের বিমান ঘাঁটিও ভারতের হামলার শিকার হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই প্রতিশোধমূলক হামলায় সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি নগণ্য।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পশ্চিম ফ্রন্টে অভিযানের সময় পাকিস্তান তাদের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, তবে এতে সীমিত ক্ষতি হয়েছে। কর্নেল কুরেশি আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তান ইউ-ক্যাব ড্রোন, দূরপাল্লার অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতীয় সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করেছে, যা ব্যর্থ করে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী।

তিনি দাবি করেন, শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২৬টিরও বেশি স্থানে পাকিস্তানের বিমান অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভারতীয় সেনাবাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করেছে। উধমপুর, পাঠানকোট, আদমপুর এবং ভূজ, বাথিন্ডা স্টেশনের মতো বিমান স্টেশনগুলিতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

কর্নেল কুরেশি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, পাকিস্তান গতকাল শুক্রবার রাত ১টা ৪০ মিনিটে পাঞ্জাবের একটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের চেষ্টা করেছিল। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান শ্রীনগর, বান্ডিপোরা এবং উধমপুরে বিমান বাহিনীর বিমান ঘাঁটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্কুলগুলিকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।

সবশেষে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি জোর দিয়ে বলেন, ‘ভারতের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এবং সব শত্রুভাবাপন্ন পদক্ষেপের সঠিক জবাব দেওয়া হয়েছে’।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: