
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ক্ষমতার শূন্যতার মধ্যে আগামী ৩ জুন অনুষ্ঠেয় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার আগাম ভোটে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ৩১ লাখ ৭ হাজার ১৬৪ জন ভোটার, যা মোট ভোটারের ৭ শতাংশ, ইতোমধ্যেই ভোট দিয়েছেন। ২০২২ সালের আগাম ভোটের একই সময়ে ভোটদানের হার ছিল ৫.৩৮ শতাংশ। এবার ভোটগ্রহণ হবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার- মোট দুই দিন ধরে।
এই নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লের সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে। তার পদত্যাগের পর দেশে নেতৃত্বের সংকট তৈরি হয়।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি জে-মিউং, যিনি ভোটার মতামত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন, সিউলের একটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভোট দেন। ভোটদানের পর তিনি বলেন, "বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং পুনরুদ্ধার ও প্রবৃদ্ধির কোরিয়া গড়ে তুলতে দয়া করে আপনার ভোট দিন।"
একইদিনে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ২০২৫ সালের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৮ শতাংশে নামিয়ে আনে। লি জে-মিউং বুধবার একটি নতুন জলবায়ু ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন এবং লিঙ্গ সমতা ও পরিবার মন্ত্রণালয়কে সম্প্রসারণ ও পুনর্গঠনের কথা বলেন যাতে “সমতা ও উল্টো বৈষম্য” মোকাবেলা করা যায়।
সর্বশেষ গ্যালাপ কোরিয়ার জরিপ অনুযায়ী লি জে-মিউং (ডেমোক্রেটিক পার্টি) – ৪৯%, কিম মুন-সু (পিপল পাওয়ার পার্টি) – ৩৫% ও লি জুন-সক (নিউ রিফর্ম পার্টি) - ১১% জনসমর্থন পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এবার মোট ৪ কোটি ৪৪ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
কিম মুন-সু প্রচারণার শুরুতে লি জে-মিউংয়ের চেয়ে ২০ শতাংশ পিছিয়ে থাকলেও সেই ব্যবধান অনেকটাই কমাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে তিনি অপর রক্ষণশীল প্রার্থী লি জুন-সককে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানাতে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: