ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা: কারো বেঁচে থাকার আশা নেই

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১২ জুন ২০২৫ ২২:২২

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ২৪২ জন আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়, যা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। লন্ডনগামী বিমানটিতে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা থেকে আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই।

উড়োজাহাজটি একটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে মেঘানি এলাকার এক মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের হোস্টেলে আছড়ে পরলে পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত হয়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হোস্টেলটির একটি ডাইনিং হলের দেয়াল ভেদ করে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে, কিছু প্লেটে এখনও খাবার দেখা যাচ্ছে।

বিমানটি নিচু হয়ে উড়ে যাবার ও উচ্চতা অর্জনের জন্য লড়াই করার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বৃহস্পাতিবার (১২ জুন) দুপুর ১.৩৮ মিনিটে বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং আগুনের একটি বিশাল বলয়ে বিস্ফোরিত হয়। লন্ডনের দিকে অনেক দূরত্বে উড়ে যাওয়ার কারণে উড়োজাহাজটিতে জ্বালানি ভর্তি ছিলো।

উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই পাইলট মে ডে কল পাঠান। এরপর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের কাছ থেকে বারবার কল করার পরেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। উড়োজাহাজ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় লাজার এনডিটিভিকে বলেন, ওই উড়োজাহাজটি শেষ মুহূর্তে নূন্যতম ৮২৫ ফুট উচ্চতায় উঠতে ব্যর্থ হলে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পরে। উড়োজাহাজটি স্পষ্টতই উপরের দিকে উঠতে পারছিলো না। যার পরিণতিতে সেটি বিধ্বস্ত হয়।

আহমেদাবাদ-লন্ডন চলাচলকারী ফ্লাইট নং এআই ১৭১-এ ১৬৯ জন ভারতীয় ছিলেন, যাদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডিয়ান এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। ভিডিওতে উড়োজাহাজের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ, ঘটনাস্থল থেকে ঘন ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে এবং জরুরি কর্মীরা কাজ করছেন। কিছু ভিডিওতে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও দেখা গেছে।

কমপক্ষে দুই ডজন অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং কিছু আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রামমোহন নাইডু কিঞ্জারাপু বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সব বিমান ও জরুরি সংস্থাগুলোকে দ্রুত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উড়োজাহাজের পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়ালের ৮,২০০ ঘণ্টা এবং কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্ডার ১,১০০ ঘণ্টার উড়ানের অভিজ্ঞতা। দুর্ঘটনার ঠিক আগে পাইলট মে ডে কল করেছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: