
বিশ্বজুড়ে ৭টি মহাদেশ। সেখানে অনেক দেশ। সেসব দেশে অনেক শহর। যেসব শহরের মধ্যে আবার অনেক শহরকেই একডাকে চেনেন বিশ্ববাসী। কিন্তু প্রশ্ন হল এসব শহরের মধ্যে সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর কোনটা?
এই তালিকা প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। বিশ্বের ১৭৩টি শহরের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। ২০২৫ সালের জন্য এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৩ বছর ধরে এই তালিকায় প্রথম স্থান ধরে রেখেছিল ভিয়েনা। কিন্তু ভিয়েনাকে দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে দিয়েছে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন। ২০২৫ সালের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহর হিসাবে বিবেচিত হয়েছে কোপেনহেগেন।
ভিয়েনা ৩ বছর ধরে প্রথমে থাকার পর এবারের তালিকায় সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখ শহরের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থান ভাগ করে নিয়েছে। তৃতীয় স্থান পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। চতুর্থ হয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভা।
এরপর তালিকায় একে একে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড, জাপানের ওসাকা, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড, কানাডার ভ্যাঙ্কুভার।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনও শহর প্রথম ১০-এ জায়গা পায়নি। নেই লন্ডন, প্যারিস, নিউ ইয়র্ক, বার্লিন, মস্কো বা এমন কোনও নামী শহরের নাম। কীভাবে বেছে নেওয়া হয় শহর কতটা বাসযোগ্য? মূলত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্থিতিশীলতা, পরিকাঠামো এবং পরিবেশ, এই বিষয়গুলির ক্ষেত্রে কোন শহর কতটা এগিয়ে সেটাই যাচাই করা হয় এই তালিকা প্রস্তুতের সময়।
তালিকায় সর্বোচ্চ স্থান অধিকারকারী আমেরিকান শহর হনোলুলু ২৩ নম্বরে, এরপর আটলান্টা ২৯ নম্বরে। অপরাধের মাত্রা কম এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকি কম থাকার কারণে ছোট শহরগুলি সূচকে ভালো পারফর্ম করে। উদাহরণস্বরূপ, নিউ ইয়র্ক সিটি ৬৯তম স্থানে রয়েছে।
মিয়ামি এবং পোর্টল্যান্ড, ওরেগন, যৌথভাবে ৪৪তম স্থানে রয়েছে - গত বছরের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে। শার্লট, এন.সি. এবং ইন্ডিয়ানাপোলিসও তিন ধাপ এগিয়ে ৫০তম স্থানে নেমে এসেছে।
উল্টো দিকে, তালিকার একদম শেষে রয়েছে লিবিয়ার ত্রিপোলি শহরের নাম। পাশাপাশি সিরিয়ার দামেস্ককে বিশ্বের সবচেয়ে কম বাসযোগ্য শহর হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে স্থিতিশীলতা এবং স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এটি নিম্ন স্কোরিং পেয়েছে।
বাংলাদেশের ঢাকা; পাকিস্তানের করাচি এবং আলজেরিয়ার আলজিয়ার্সও রয়েছে নীচের দিক থেকে পাঁচে ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: