গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবি ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৫ জুলাই ২০২৫ ২১:২০

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাকরনের এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছেন।

প্যারিসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের স্থায়ী সমাধানের সর্বোত্তম পথ বেছে নিতে আহ্বান জানান। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসা সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে গাজায়।

ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ অপ্রতুল। ম্যাকরন বলেন, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।’

ম্যাকরন ও আনোয়ার উভয়েই ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে মত দেন, যা ইসরায়েলের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সাম্প্রতিক ইরান হামলার নিন্দা করেন এবং পশ্চিমা বিশ্বের ‘দ্বিমুখী নীতির’ সমালোচনা করে বলেন, ‘ইরানকে ‘না’ বললেও ইসরায়েলকে ‘হ্যাঁ’ বললে সমস্যা থেকে যায়। ইরানকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ উপায়ে এগোতে হবে এবং পরমাণু পরিদর্শন মেনে নিতে হবে।’

মালয়েশিয়া ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক অধিকারের পক্ষে জোরালো সমর্থন জানিয়েছে এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরোধিতা করে আসছে।

ইসরায়েল গাজায় হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজার ৯০% জনগণ বাস্তুচ্যুত এবং অর্ধেকের বেশি অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালত ইসরায়েলকে গণহত্যা রোধে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।

এই যৌথ আহ্বান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর চাপ বাড়াচ্ছে যাতে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই শর্তহীন যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় এবং ফিলিস্তিনিদের তীব্র মানবিক সংকট মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা দেয়া হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: