ছবি : সংগৃহীত
                                    কলম্বিয়ায় সামরিক ও পুলিশি স্থাপনার বিরুদ্ধে পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে একটি হেলিকপ্টার হামলা এবং একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ অন্তর্ভুক্ত। এই ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। দেশটির কর্মকর্তারা বিদ্রোহী ও মাদক সিন্ডিকেটকে এই হামলার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) কলম্বিয়ায় দুটি পৃথক হামলার ঘটনা ঘটে। একটি হামলায় হেলিকপ্টার লক্ষ্য করা হয়, যা আন্টিওকিয়ার একটি এলাকায় পুলিশের কোকা পাতা ধ্বংস অভিযানে নিয়োজিত কর্মীদের বহন করছিল। আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণ-পশ্চিমের কালি শহরের সামরিক বিমান স্কুলের কাছে, যেখানে একটি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়।
প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো প্রথমে হামলার জন্য দেশের বৃহত্তম সক্রিয় মাদক সিন্ডিকেট গালফ ক্ল্যানকে দায়ী করেন। তবে হেলিকপ্টার হামলার জন্য পরে সাবেক বিপ্লবী সশস্ত্র দল এফএআরসি-এর বিদ্রোহীদের দায়ী করা হয়।
হেলিকপ্টার হামলায় অন্তত ১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে প্রেসিডেন্ট পেত্রো আটজন নিহতের খবর দেন, পরে অ্যান্টিওকিয়া প্রদেশের গভর্নর আন্দ্রেস জুলিয়ান রেন্ডন জানান, আরও চারজন নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত রয়েছেন। হামলায় একটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল, যা বিমানটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেদ্রো আর্নুলফো সানচেজ জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে বিমানটিতে আগুন লেগেছে।
অপরদিকে, কালি শহরের সামরিক বিমান স্কুলের কাছে একটি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়। এতে পাঁচজন নিহত হন এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ান বিমান বাহিনী বিস্ফোরণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। প্রেসিডেন্ট পেত্রো বলেছেন, এই হামলাটি গালফ ক্ল্যানের কোকেন জব্দের প্রতিশোধ হিসেবে সংঘটিত হয়েছে। বিস্ফোরণের এলাকায় সন্দেহভাজন একজন বিদ্রোহী সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: