
পাকিস্তানের লাহোরে দীর্ঘদিনের ট্রাফিক জট কমাতে শিগগিরই দুবাইয়ের আদলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব সরকার লাহোরে পরিবেশবান্ধব এ এক্সপ্রেসওয়ের বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এটি শহরের দৈনন্দিন যাত্রা সহজ করবে ও হাজার হাজার যাত্রীকে সুবিধা দেবে।
এ সপ্তাহের শুরুতে হাউজিং সেক্রেটারি নূর উল আমিন মেঙ্গালের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রস্তাবিত চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ের পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা হয়। এ এক্সপ্রেসওয়েটি শহরের প্রধান ঝড়ের পানি প্রবাহের ড্রেন বরাবর গুলবের্গ থেকে বাবু সাবু পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে এটি প্রতিদিন ৭০ হাজারেরও বেশি যাত্রীকে সুবিধা দেবে এবং গুলবের্গের মেইন বুলেভার্ড থেকে এম-২ মোটরওয়ে পর্যন্ত যাত্রার সময় মাত্র ১০ মিনিটে নামিয়ে আনবে।
এক্সপ্রেসওয়ের নকশায় ছয়টি প্রধান ইন্টারচেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত থাকবে, পাশাপাশি মেট্রো বাস ও অরেঞ্জ লাইন মেট্রো ট্রেনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে অতিরিক্ত ইন্টারচেঞ্জ থাকবে।
এতে লাহোরের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমন্বয় সহজ হবে। কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ প্রকল্প কেবল ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করবে না, বরং কার্বন নিঃসরণ কমাতেও সহায়ক হবে, যা সরকারের পরিবেশ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্ট, সবুজ বেল্ট, উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো আধুনিক শহুরে সুবিধাও থাকবে, যা এর কার্যকারিতা ও চাক্ষুষ আকর্ষণ বাড়াবে।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, এটি চালু হলে সংযুক্ত রুটে মোট যাত্রা দূরত্ব প্রায় ৮২ কিলোমিটার কমবে।
সিগন্যালমুক্ত করিডরের মাধ্যমে চলাচল সহজ হবে ও লাহোরকে আধুনিক মহানগর হিসেবে প্রমাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ ছাড়া পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন তদারকির জন্য লাহোর ট্রাফিক ডিকনজেশন কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনাটি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফকে হস্তান্তরের আগে, জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর নির্দেশে এর পরিবেশগত প্রভাব নিয়েও গবেষণা পরিচালনা করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: