সংগৃহীত ছবি
                                    
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৫ হাজার বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। ২৬ জুন, সোমবার বসতি নির্মাণ তত্ত্বাবধাণকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিটি এ অনুমোদন দেয়। তবে এসব বাড়ি নির্মাণকাজ কবে থেকে শুরু হতে পারে তা নিশ্চিত নয়।
এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকেও কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। পদক্ষেপটিকে একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধের অংশ’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। খবর এএফপির।
অধিকৃত অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলের বসতি স্থাপন নীতির ক্রমবর্ধমাণ সমালোচনার মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, ‘নেতানিয়াহু সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে তার আগ্রাসন ও প্রকাশ্য যুদ্ধের দিকে আগাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করছি গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সব বসতি স্থাপনকারী উপনিবেশবাদ অবৈধ ও বেআইনি।’
পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আলজাজিরা প্রতিনিধি ইমরান খান জানান, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিবেচনা আর প্রকৃতপক্ষে কারা বসতি স্থাপন করতে যাচ্ছে এই বিষয়গুলোর মতো বসতি সম্প্রসারণ অনুমোদনের ছয়টি পর্যায় রয়েছে। আর প্রতিটি পর্যায়ে উদ্বেগ প্রকাশ আর প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করার ক্ষমতা রয়েছে সংসদ সদস্যদের (নেসেট)। কিন্তু গত সপ্তাহে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সেই প্রক্রিয়াটি আরও সুগম হয়।
অবৈধ বসতি নির্মাণের সমর্থক অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের কাছে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন তিনি। ছয় স্তরবিশিষ্ট বাইপাস করার অনুমতি দেওয়া হয়, যা আন্তর্জাতিক আইনের অবৈধ বলে বিবেচিত।
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বসতি স্থাপনকে অবৈধ ও শান্তি প্রতিবন্ধক হিসাবে বিবেচনা করে থাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো। অধিকৃত পশ্চিম তীরে বর্তমানে ইসরাইলের জনসংখ্যা ৭ লখেরও বেশি।
এদিকে বিচারব্যবস্থা সংস্কারের নামে বিচার বিভাগকে হাতে আনা অবিচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরও জারালো হয়েছে ইসরাইলে। বিচার বিভাগীয় সংস্কার আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিনের বাড়ির বাইরে কয়েকশ বিক্ষোভকারীর একটি দল জড়ো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ বিক্ষোভ শুরু হয় বলে জানিয়েছে হিব্রু মিডিয়া। এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অন্তত চারজন। জেরুজালেম পোস্ট।
বিক্ষোভকারীরা ব্রাদার্স ইন আর্মসের সদস্য বলে জানা গেছে। বিক্ষোভে তারের বেড়া দিয়ে রাস্তা অবরোধ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর এতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ইসরাইলের অ্যাটর্নি-জেনারেল অফিস জানিয়েছে, তাদের অবস্থান বিচার বিভাগের এমন সংস্কারের বিরুদ্ধে।
সূত্র : এএফপি
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: