
হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যায় কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালেন প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দোহায় সাম্প্রতিক হামলায় যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সৌদি আরবের উপর দিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল।
গোপন হামলায় আটটি এফ-১৫ এবং চারটি এফ-৩৫ বিমান অংশ নেয়, যা আরব উপদ্বীপের বিপরীত দিকে লোহিত সাগরে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার (৯৩২ মাইল) পাড়ি দেয়। যুদ্ধবিমানগুলো থেকে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, তা সৌদি আরবের আকাশ দিয়ে উড়ে দোহায় গিয়ে আঘাত হানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এড়াতে ইসরায়েল কৌশলগতভাবে তার যুদ্ধবিমানগুলোকে লোহিত সাগরে স্থাপন করে এবং সৌদির আকাশ পথকে ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার মতে, হামলার কয়েক মিনিট আগে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে আসন্ন আক্রমণ সম্পর্কে সেনাবাহিনীকে অবহিত করেছিল। তবে, প্রাথমিকভাবে লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করেনি তেল আবিব।
একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এই অভিযানকে ‘একেবারে অকল্পনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, “ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এত কম সময় আগে অবহিত করা হয়েছিল যে আদেশটি উল্টে দেওয়ার বা থামানোর কোনও উপায় ছিল না।”
গত মঙ্গলবার দোহায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্য এবং এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত নতুন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। বৈঠকে থাকা শীর্ষ হামাস নেতারা আক্রমণ থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
এই আগ্রাসনের ফলে অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় ওঠে। কাতার শিগগিরই ইসরায়েলি বিমান হামলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি জরুরি আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন ডেকেছে। দোহায় ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনটি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: